কোলাঘাটের বরদাবাড় এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন দেহাটি খালের একাংশ দখল করে হোটেল তৈরির অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। পাঁশকুড়া থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি বিস্তীর্ণ এলাকার জল-নিকাশির প্রধান ভরসা। কিন্তু কলকাতা থেকে মুম্বাইগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সেচ-দফতরের ওই খালের পাড় দখল করে বেআইনি ভাবে বহু দোকান আগে থেকেই গজিয়ে উঠেছে। এর ফলে খালের জল-নিকাশির ক্ষমতাও ক্রমে কমছে। সম্প্রতি কোলাঘাটের বরদাবাড় এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে থাকা দুটি খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী সড়ক সংলগ্ন ওই খালের পাড় পুরোপুরি দখল করে পাকা-ঘর নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ আসে সেচ-দফতর ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে। অভিযোগ পেয়ে সেচ-দফতরের আধিকারিকদল বরদাবাড় এলাকায় পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শনে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে সেচ-দফতর। |
এভাবেই খাল পাড় দখল করে গড়ে উঠেছে হোটেল। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
জেলা সেচ-দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়কের অংশ বর্তমানে চার লেন থেকে ছয় লেনে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এর উপর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ ওই খালের একাংশ বুজিয়ে বেআইনি পাকা নির্মাণের জেরে জলনিকাশি ব্যাহত হবে। তা ছাড়া বেআইনি দখলদারেরা আরও উৎসাহিত হবে। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ারই নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। সেচ-দফতরের নির্দেশে পাঁশকুড়া-১ মহকুমা সেচ-আধিকারিক বরদাবাড়ে ওই দুই হোটেল মালিককে নোটিস পাঠিয়ে বেআইনি নির্মাণ অপসারণের নির্দেশ দেন। প্রথমবার নোটিস দেওয়ার পরেও ওই দুই হোটেলের মালি বেআইনি নির্মাণ সরায়নি বলে অভিযোগ আসে। এর পর মহকুমা সেচ-আধিকারিক গত ১৩ জুলাই ফের নোটিস দিয়ে ওই দুই হোটেল মালিককে বেআইনি নির্মাণ অপসারণে চূড়ান্ত সময় দেন। তাঁরা নিজেরা না-সরালে সেচ-দফতরই ওই বেআইনি নির্মাণ অপসারণে কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে সেচ-দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার তাপস মাইতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দেহাটি খালের একাংশ বেআইনি ভাবে দখল করে যে নির্মাণ হয়েছে তা অপসারণের জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। ওই বেআইনি নির্মাণ দখলদারেরা না সরালে আমরা কড়া পদক্ষেপ করব।” |