কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনে। আদালত চত্বর এবং সামনের বাগানের পাশে সার দিয়ে লাগানো হবে সৌর আলো। পরিবেশ এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়, দুইয়ের কথা মাথায় রেখেই হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা হচ্ছে বিচারপতিদের আবাসনেও। সেখানে আপাতত সৌরচালিত হিটার বসানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই ওয়েবরেডার সঙ্গে যোগাযোগ করে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী এবং অস্থায়ী কাঠামোয় কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে তার তালিকাও কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ২৫টি নির্দেশের এই তালিকা ২০১০ সালেই হাইকোর্টের তরফে সরকারকে পাঠানো হয়। সম্প্রতি সরকার সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জলপাইগুড়িতে বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামোতেও কাজ শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। |
অস্থায়ী ভবনে কাজ চলছে। ছবি: সন্দীপ পাল। |
সে কারণেই হাইকোর্টের নির্দেশিত ২৫টি বিষয়ের কাজ শুরু করেছে সরকার। চলতি মাসেই হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে অস্থায়ী পরিকাঠামো চালু করার উপযুক্ত নয় বলে যে মতামত ব্যক্ত করেছিল তার কারণও অস্থায়ী পরিকাঠামো সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশ রূপায়িত না করা বলেই রাজ্য সরকার মনে করছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল অস্থায়ী ভবনের আসবাবের পরিবর্তন। যে আসবাবগুলি অস্থায়ী ভবন তথা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় রয়েছে সেগুলি পুরোনো কায়দায় তৈরি বলে জানানো হয়েছে। আসবাবগুলিকে আধুনিক ছাঁচে বদলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। অস্থায়ী ভবনের শৌচাগারেরও বেশ কিছু রদবদলের নির্দেশ রয়েছে। গত সপ্তাহেই পূর্ত দফতরের অতিরিক্ত প্রধান বাস্তুকার অস্থায়ী পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন। ভবনের ভেতরের দেওয়ালের রং সহ বিভিন্ন দেওয়ালের পলেস্তারা নতুন করে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী ভবনের সংস্কার করতে পূর্ত দফতর থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার টেন্ডার করা হয়। সংস্কারের কাজে খরচের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে পূর্ত দফতর। আগামী ৫ অগস্ট সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামোর কাজ দেখতে জলপাইগুড়িতে আসছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আগামী ১ সেপ্টেম্বর সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করতে আসার কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল-সহ হাইকোর্টের বিচারপতি এবং আধিকারিকদের একটি দলও সেদিন জলপাইগুড়িতে আসতে পারেন। সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামো সেদিনই পরিদর্শন করবে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল। তবে অস্থায়ী পরিকাঠামোর হাইকোর্ট যে পরিবর্তন এবং সংস্কারের তালিকা দিয়েছে, সেই কাজগুলি আগামী ১৮ অগস্টের মধ্যে সেরে ফেলতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। |