চলতি বছরে বিশ্ব জুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে খরচ বাড়তে পারে ৩%। যার অর্থমূল্য প্রায় ৩.৬ লক্ষ কোটি ডলার। এ কথা জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা গার্টনার। মূলত ক্লাউড কম্পিউটিং, টেলিকম এবং কনসাল্টিং ব্যবসার হাত ধরেই এই খরচ বাড়ার সম্ভাবনা বলে দাবি তাদের। এর আগে গত ত্রৈমাসিকে এই খাতে খরচ ২.৫% বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল গার্টনার।
বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতে বিশ্ব জুড়ে কোনও পণ্যেরই চাহিদা খুব একটা বাড়ছে না। তাই আগামী কয়েক মাসে অবশ্য খরচের ব্যাপারে শিল্প সংস্থার পাশাপাশি ক্রেতারাও যথেষ্ট সাবধানতা বজায় রাখবে বলেই জানিয়েছে গার্টনার। তবে ভবিষ্যতে তা বাড়ার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। তাই ২০১৩ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে খরচ ৪.৪% বেড়ে ৩.৭৮ লক্ষ কোটি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
বিশ্ব জুড়ে তথ্য জমিয়ে রাখার মাধ্যম হিসেবে বাড়ছে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর চাহিদা। ফলে পরিষেবা হিসেবে ২০১২ সালে শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির খরচ গত বছরের ৯,১০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১০,৯০০ কোটিতে। আর ২০১৬ সালের মধ্যেই তা ছুঁতে পারে ২০,৭০০ কোটি। যদিও গার্টনারের দাবি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বিপুল চাহিদা থাকলেও, সফটওয়্যার বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এখনও তেমন চাহিদা নেই। তবে ভবিষ্যতে চাহিদা দ্রুত বাড়বে।
অন্য দিকে, বিশ্ব অর্থনীতি এখনও স্থিতাবস্থায় ফেরেনি। তাই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে ‘কনসাল্টিং’ (পরামর্শদাতা)-এর চাহিদা তুঙ্গে। আর এই সুযোগেই তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতে খরচ ২.৩% বেড়ে ৮৬,৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে গার্টনারের দাবি। সবচেয়ে বেশি খরচ বাড়বে টেলিকম ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে। যা ২০১২ সালে বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ২.০৬ লক্ষ কোটি ডলার। আর ২০১৩ সালে ২.১৩ লক্ষ কোটি। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও, ট্যাবলেট-সহ বিভিন্ন নতুন বৈদ্যুতিন পণ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারই এর কারণ বলে জানিয়েছে তারা। আর কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে খরচ ২০১২ সালে ৩.৪% বেড়ে ৪২,০০০ কোটিতে দাঁড়াতে পারে বলেও তাদের দাবি। |