পরিবহণ ধর্মঘট, তাই স্কুল হবে না মঙ্গলবার। শনিবার পড়ুয়াদের এমনটাই জানান দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক রায়। কিন্তু সিটু ধর্মঘট তুলে নেওয়ার পরেও সোমবার স্বাভাবিকভাবে স্কুল হবে বলে জানাননি তিনি-এমনই অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা। তাঁরা জানান, ওই শিক্ষক না জানানোয় মঙ্গলবার স্কুলে কার্যত ছুটির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পড়ুয়ারা আসেনি। আসেননি অধিকাংশ শিক্ষকও। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক বিপদতারণ বাগদি জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। তবে প্রধান শিক্ষক অশোকবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “যা বলার পরিচালন সমিতির বৈঠকে বলব।”
মঙ্গলবার স্কুল না হওয়ার খবর পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকেরা। তাঁরা জানান, সরকার তো ধর্মঘটের বিরোধীতা করেছে। তাছাড়া পড়ুয়ারা বেশিরভাগই স্থানীয়। হেঁটে বা সাইকেলেই স্কুলে যাতায়াত করে তারা। ফলে ধর্মঘট হলেও খুব বেশি প্রভাব পড়ত না। অভিভাবক রঞ্জিত বাল্মিকী, বিপিন দাস, সুব্রত দে-র অভিযোগ, সোমবার সিটু ধর্মঘট প্রত্যাহার করার পরেও প্রধান শিক্ষক স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করেছেন। প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসতেই এ নিয়ে জবাবদিহি করেন তাঁরা। খবর পেয়ে স্কুলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর লাভলি রায়ও। তাঁর দাবি, প্রধান শিক্ষক মাঝে মাঝেই স্কুল কামাই করেন। স্কুলে পঠন-পাঠনের মানও আগের থেকে কমে গিয়েছে। এ দিনও তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। লাভলিদেবীর আরও অভিযোগ, মিড ডে মিল চালু করা নিয়েও প্রধান শিক্ষক দিনের পর দিন টালবাহানা করছেন। তিনি জানান, স্কুলের সমস্ত বিষয় তিনি লিখিতভাবে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক ও মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। প্রধান শিক্ষকের আচরণে ক্ষুব্ধ সিপিএম প্রভাবিত স্কুল পরিচালন সমিতিও। বিপদতারণবাবু জানান, বুধবার পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে প্রধান শিক্ষকের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। তিনি বলেন, “পরিচালন সমিতিকে না জানিয়েই উনি একতরফা স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” |