চিরকাল কেউই বেঁচে থাকি না। কিন্তু আমাদের যাবতীয় ভাবনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনাগুলি তুলে দিয়ে যাই আগামী প্রজন্মের হাতে। মৃত্যু যতই অমোঘ হোক এ ভাবেই ঘটে জীবনের উত্তরণ। ‘বিস্ময়ের দ্বীপ’-এ ন’বছরের একটি ছেলে আর সঙ্গে জনা পঞ্চাশ নাচিয়ের মাধ্যমে জীবনের এই উত্তরণের গল্পই ফুটিয়ে তুললেন আক্রম খান। অলিম্পিকের আসরে ড্যানি বয়েলের অনুষ্ঠান ‘বিস্ময়ের দ্বীপ’ মাত করল আসর। মাত করলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোরিওগ্রাফার আক্রম।
আগেও কাইলি মিনোগ, জুলিয়েট বিনোশে, অ্যান্টনি গরমলির মতো শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর অনুষ্ঠান দেখার পরে লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনে আক্রমকে সামিল করার সিদ্ধান্ত নেন ড্যানি বয়েল। আক্রমকে একটি শব্দ দিয়েছিলেন ড্যানি, ‘মরণশীলতা’। তার উপরে নির্ভর করেই নাচের অনুষ্ঠানের থিম তৈরি করেছেন আক্রম। এমিলি স্যান্ডের গানের সঙ্গে আক্রমের অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা।
অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চোখ ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার ও প্রায় ৪ কোটি টেলিভিশন দর্শকের। |
রানি এলিজাবেথের হাতে অবশ্য আগেই সম্মানিত হয়েছেন আক্রম। সারা পৃথিবীর নানা রাজধানীতে করেছেন অনুষ্ঠান। কিন্তু, ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি যে চিন্তায় ছিলেন তা লুকোননি আক্রম। তবে ড্যানির সঙ্গে কাজ করে আনন্দও পেয়েছেন প্রচুর।
লন্ডনেই একটি বাংলাদেশি পরিবারে জন্ম আক্রমের। সাত বছর বয়স থেকে নাচ শিখছেন। তাঁর সতীর্থ ছিলেন কত্থক নাচিয়ে প্রতাপ পওয়ার। ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে নিজের অনুষ্ঠান করতে শুরু করেন আক্রম। ধ্রুপদী কত্থকের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল ঘটিয়েছেন তিনি। ‘দেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের জন্য অলিভিয়ার পুরস্কার পেয়েছেন আক্রম। অক্টোবর মাসে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ওই অনুষ্ঠান করবে তাঁর দল। ভারত, তাইওয়ান, আমেরিকাতেও আসার পরিকল্পনা রয়েছে আক্রমের। |