লন্ডন অলিম্পিকের অভিনব উদ্বোধন অনুষ্ঠানের গায়ে বিতর্কের কালি লাগল। আর সেটা আবার ভারতীয় দলের মার্চ পাস্টকে ঘিরেই!
গতকাল মার্চ পাস্টের সময় ভারতীয় দলের একেবারে সামনের দিকে, পতাকাবাহক সুশীল কুমারের পাশে হাত নাড়তে নাড়তে হাঁটতে দেখা যায় লাল শার্ট, নীল জিনসে সজ্জিত এক লম্বা মহিলাকে। যাঁর আড়ালে ঢাকা পড়ে যান হলুদ শাড়িতে বর্ণময় সানিয়া মির্জারা পর্যন্ত। মহিলা কে, কোথা থেকে এসেছিলেন, কী করেই বা নিরাপত্তার সব কড়াকড়ি এড়িয়ে ভারতীয় দলের সঙ্গে গোটা স্টেডিয়াম ঘুরলেন, সব এখনও পর্যন্ত রহস্যাবৃত। অনেকে মনে করছেন, তিনি সম্ভবত লন্ডনের কোনও অনাবাসী ভারতীয়। তবে তিনি যে-ই হোন, দলের সঙ্গে তাঁর অবাঞ্ছিত উপস্থিতি প্রচণ্ড চটিয়ে দিয়েছে ভারতীয় শিবিরকে। লন্ডন গেমসের আয়োজকদের কাছে গোটা ব্যাপারটা নিয়ে সরকারি অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ভারতের শেফ দ্য মিশন ব্রিগেডিয়ার পি কে মুরলীধরন রাজার কথায়, “আমরা প্রচণ্ড বিরক্ত। মার্চ পাস্টটা একান্ত ভাবেই অলিম্পিয়ান অ্যাথলিটদের জন্য। ওই মহিলার ওখানে থাকার কোনও অধিকার নেই। ওঁকে কী করে ভারতীয় দলের সঙ্গে হাঁটার অনুমতি দেওয়া হল, আয়োজকদের কাছে আমরা তার কৈফিয়ত চেয়েছি।” |
রাজা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে আয়োজকদের তরফে তাঁদের বলা হয়েছিল, ওই মহিলা এবং আরও এক ভদ্রলোক ভারতীয় দলকে ট্র্যাক পর্যন্ত এগিয়ে দিতে যাবে। “আমদের বলা হয়েছিল, এরা দু’জন আপনাদের ট্র্যাক পর্যন্ত এগিয়ে দেবে। ভদ্রলোক মাঠে ঢোকেননি, কিন্তু মহিলা দলের সঙ্গে মাঠে ঠুকে পড়েন,” বলেছেন রাজা। অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাকে প্রাথমিক ভাবে অনেকেই ভারতের ডিসকাস থ্রোয়ার সীমা আন্তিল বলে ভুল করেছিলেন। যাতে বিভ্রান্তি আরও বাড়ে। অ্যাথলিটদের প্যারেডের সময় তিনি দলের পুরোভাগে এমন ভাবে ছিলেন যে, সব টিভি ক্যামেরা শুধু তাঁকেই তাক করে। ফলে টিভির পর্দায় যে দশ সেকেন্ড ভারতীয় দলকে দেখানো হয়, তার বেশিরভাগ সময়টাই ক্যামেরা ভারতীয় অ্যাথলিটদের বদলে ওই মহিলার উপর ছিল। এতে আরও চটেছেন ভারতীয়রা। “ওই মহিলার নির্লজ্জ উপস্থিতিতে আমরা অবাক! এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না,” বলেছেন রাজা। |