পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সিপিএম. গঙ্গারামপুরে দলের প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস সহ ৫৪ জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলা মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে দাবি জানিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিপিএম। শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাটে দলের জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের কথায় পুলিশ সিপিএম নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। অথচ সিপিএম থেকে দায়ের করা অভিযোগের তদন্তে পুলিশের তরফে সাড়া মিলছে না।” মানবেশবাবুর আরও অভিযোগ, গত তিন মাসে গঙ্গারামপুর এবং বালুরঘাট এলাকায় তিনজন সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশের তরফে মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি। থানা গুলি তৃণমূলের ‘স্ট্রংরুমে’ পরিণত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়গুলি জনসমক্ষে তুলে ধরতে আগামী ১০ অগস্ট দলের রাজ্যনেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের নেতৃত্বে গঙ্গারামপুরের ফুটবল মাঠে জমায়েতের ডাক দিয়েছে সিপিএ। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ঠিক ন। অভিযোগের তদন্তে সত্য মিথ্যা যাচাই করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুনের মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকতে গঙ্গারামপুরে বরাবরই সিপিএম নেতারা সন্ত্রাস চালিয়েছেন। সেই আচরণ এখনও বদলায়নি বলে তাঁর কটাক্ষ। তা ছাড়া তৃণমূল নয়, ওই সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের তরফে অভিযোগ হয়েছে বলে বিপ্লববাবু দাবি করেন। বিপ্লববাবু বলেন, “অভিযোগকারী পরিবারগুলি যাতে সঠিক বিচার পান, তা দেখতে পুলিশকে বলা হবে।” গত ১৭ জুলাই গঙ্গারামপুরে শুকদেবপুর এলাকায় পারিবারিক জমি নিয়ে বিবাদের জেরে তিন ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে তৃণমূল সমর্থক ছোট ছেলে হাসিরুদ্দিন মিয়াঁকে মারধরের চেষ্টা হয়। তাঁর মা হাচিমন বেওয়া ২৩ এপ্রিল গঙ্গারামপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, দুই বড় ছেলে সিপিএম করে। তাঁদের পক্ষ নিয়ে ওইদিন ছোট ছেলে হাসিরুদ্দিনকে হাঁসুয়া নিয়ে তাড়া করে সিপিএমের নেতা কর্মীরা। ওই সময় নারায়ণ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোঁড়ে ও টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে বলে অভিযোগ। গুলি অবস্য কারও গায়ে লাগেনি। ওই ঘটনায় হাচিমন বেওয়া সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস, জেলা নেতা অচিন্ত্য চক্রবর্তী, বলরাম ঘোষ, সীতারাম কিস্কু সমেত ৫৪ জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নারায়ণ মজুমদার জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হামলা, মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। |