পঞ্চায়েতে তাণ্ডব জনতার
ফেরত গেল রাস্তা তৈরির জন্য সাংসদ কোটার টাকা
রাস্তা তৈরির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতকে সাংসদ কোটার অর্থ দেওয়ার পরে সেই টাকা তুলে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যপক ভাঙচুর চালিয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২ টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “পঞ্চায়েতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় যায়। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই হামলাকারীরা সবাই পালিয়ে গিয়েছে।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাট্টারি থেকে মোবারকপুর পযর্ন্ত তিন কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির জন্য সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী তাঁর সাংসদ কোটা থেকে ১০ লক্ষ টাকা বছর খানেক আগে কংগ্রেস পরিচালিত সাট্টারি গ্রাম পঞ্চায়েতকে দিয়েছিলেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস সদস্যদের নিজের মধ্যে গোলমালের জেরে সাংসদ কোটার টাকার রাস্তার কাজ শুরুই করতে পারেনি।
ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
রাস্তার কাজ শুরু না করে দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত সেই রাস্তার টাকা ফেলে রেখেছিল। এদিকে তাঁর সাংসদ কোটার টাকা ফেলে রাখার খবর পেয়ে মাসখানেক আগে সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী সেই টাকা সাট্টারি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তুলে অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাংসদের নির্দেশে সাট্টারি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে রাস্তার জন্য বরাদ্দ সাংসদ কোটার টাকা তুলে নেওয়া হয়। এই খবর চাউর হতেই সাট্টারি এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ একদল গ্রামবাসী গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় ঘন্টা খানেক বিক্ষোভ চলার পর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে অন্য সদস্য ও কর্মীরা সবাই পালিয়ে যান। পরে পুলিশ গেলে গ্রামবাসীরা পালিয়ে গেলে পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকেন। সাট্টারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান হীরুবালা মন্ডল বলেন, “রাস্তার জন্য সাংসদ কোটার টাকা এসেছিল। কিন্তু রাস্তার কাজ শুরু করতে না পারায় সেই টাকা সাংসদ ফেরত নিয়ে অন্য পঞ্চায়েতকে দেন। এই খবর শোনার পরই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আজকে পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেছে। আমরা ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম।” কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী জানান, মানুষের দাবি মেনে আমার সাংসদ কোটা থেকে ১০ লক্ষ টাকা সাট্টারি গ্রাম পঞ্চায়েতকে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “টাকা পাওয়ার এক বছর পরেও পঞ্চায়েত কাজ করাতে পারেনি। মাস খানেক আগে সাট্টারি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সেই টাকা তুলে নিয়ে অন্য পঞ্চায়েতে পাঠানোর নির্দেশ দিই।” ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সভাপতি আক্রাম হোসেন বলেন, সাট্টারি গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ হয় না বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.