|
|
|
|
স্মরণ ৪... |
শেষ ১৫ বছর কেমন ছিল রাজেশ খন্নার দিন ও রাত? |
অসম্ভব একাকীত্বের মধ্যে কেটেছিল সুপারস্টারের জীবনের শেষ ১৫ বছর। তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখা সাংবাদিক ভার্জিনিয়া ভাচা বান্দ্রাতেই থাকেন। তিনি প্রায়ই দেখতেন রাজেশ খন্না একা একা আশীর্বাদ বাংলোতে দাঁড়িয়ে আছেন গ্লাস হাতে। এমনকী শেষের ক’বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতেন না কাউকে। ওঁর কাছের লোকেদের কাছ থেকে জানা যায়, অসম্ভব খিটখিটে হয়ে গিয়েছিলেন। “দিনের পর দিন রাজেশ খন্নাকে ফিল্ম পার্টিগুলোতে হেয় করা হত। সবাই ওঁকে দেখে ‘আহা, ওহো’ করে সহমর্মিতা জানাতেন। সেটাই হয়তো উনি মেনে নিতে পারেননি,” বলছিলেন রাজেশের বহু পুরনো এক বন্ধু। |
|
অনিতা আদবানির সঙ্গে |
এমনকী, ওঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায়, রাজেশের এই অবস্থার জন্য তাঁরা ডিম্পলকেও সমানভাবে দায়ী করেন। তাঁদের মতে, “কাকাজি অনেক বছর ধরেই ডিম্পলের সঙ্গে আবার থাকতে চাইতেন। কিন্তু কেন জানি না ডিম্পলের একটা জেদ ছিল। ডিম্পল যদি ফিরে গিয়ে ওঁর সঙ্গে থাকতেন, তা হলে শেষ ক’বছর এমন একা কাটাতে হত না ভারতের প্রথম সুপারস্টারকে।” ওঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এ-ও বলেন যে শেষ কয়েক বছর সকাল ন’টা থেকেই রাজেশ মদ্যপান শুরু করে দিতেন।
স্টিভন নামে একজন শেষ দিন পর্যন্ত রাজেশ খন্নার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু ছিলেন। অসম্ভব শিল্পমনস্ক, বান্দ্রানিবাসী এই ভদ্রলোক এতটাই ভাল বন্ধু ছিলেন রাজেশের, যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওঁর সঙ্গে গল্প করে কাটাতেন যাতে রাজেশ খন্নার একাকীত্ব কিছুটা হলেও কমে এবং ওঁর ভাল লাগে। তা ছাড়া ছিলেন বালা, রাজেশ খন্নার স্পট বয়, যিনি ভারতের প্রথম সুপারস্টারের সঙ্গে সুখ দুঃখ শেষদিন পর্যন্ত ভাগ করে নিয়েছিলেন গত ৪০ বছর ধরে। আর ছিলেন অনিতা আদবানিরাজেশের শেষ জীবনের ‘বিশেষ বন্ধু’। অনিতা, স্টিভন আর বালা ছাড়া রাজেশ খন্নার শেষ জীবনে আর কোনও বন্ধু ছিল না। |
|
|
|
|
|