হলদিয়া পুরসভা নির্বাচনে জয়ের পরে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছিল। সম্প্রতি জেলবন্দি লক্ষ্মণ শেঠ জামিন পাওয়ায় আরও উজ্জীবিত তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে আন্দোলনমুখী হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম। শুধু এককভাবে নয় শরিক দলগুলিকে নিয়েই বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছে সিপিএম।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা-সহ ১৭ দফা দাবিতে গত ১৬ জুলাই তমলুকে আইন অমান্য কর্মসূচি করে জেলা বামফ্রন্ট। সে দিন ভাল সাড়া পাওয়ায় এ বার মহকুমা স্তরে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার তমলুকে জেলা সিপিএম কার্যালয়ে জেলা বামফ্রন্টের এক বৈঠকে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, ফব, ডিএসপি-র জেলা নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন আগামী ৩ অগস্ট তমলুক, কাঁথি, হলদিয়া ও এগরা, এই চার মহকুমায় পৃথকভাবে অবস্থান-বিক্ষোভ হবে। ওই দিন প্রতিটি মহকুমা সদরে বাম কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত করে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অবস্থান চলবে। ৩০ জুলাই দিল্লিতে চার বাম দলের মিলিত কর্মসূচির সমর্থনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলায় আইন অমান্য কর্মসূচির পর মহকুমা স্তরে আন্দোলন সূচি স্থির হয়েছে। এর সমর্থনে জেলার সর্বত্র প্রচার চালানো হবে।”
সিপিএমের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া পুরভোটে জয়ের পর কোনও বিজয় উৎসব হয়নি। লক্ষ্মণ শেঠের জামিনের পরও সে ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশের ক্ষেত্র পাননি দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। এই অবস্থায় কর্মী-সমর্থকদের একজোট করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসমর্থনের পরিধি বাড়ানোই বামফ্রন্টের লক্ষ্য। |