খাতায়কলমে বর্ষা এসে পড়লেও ভারী বৃষ্টি হয়নি এতদিন। অনাবৃষ্টিতে মার খাচ্ছিল চাষ। অবশেষে দেখা মিলেছে প্রত্যাশিত বারিধারার। গত এক সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরে ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কৃষি দফতরের তথ্য আধিকারিক দুলালদাস অধিকারী বলেন, “এই বৃষ্টিতে আমন ধানের চাষ অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করছি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আরও কয়েকবার ভারী বর্ষণ হলে ধান চাষে আর সমস্যা থাকবে না বলে মনে হয়।”
২০১০ সালের ১২ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৫২০ মিলিমিটার। সেখানে চলতি বছরে ওই দিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪২০ মিলিমিটার। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহের ভারী বর্ষণে স্বস্তির শ্বাস ফেলছে কৃষি দফতর। আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকেরা। এতদিন বৃষ্টির আশায় দিন গুনতে গুনতে আশঙ্কায় ছিলেন কৃষকেরা। জল কিনে ধান চাষ করতে গেলে খরচ অনেকটাই বাড়বে। তারপরেও বৃষ্টি না হলে মাঠের ধান মাঠেই শুকিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় সেই আশঙ্কায় জল পড়ল। |
কৃষি দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টি নামতেই চাষিরা দ্রুত বীজতলা ফেলার কাজ করছেন। যে বীজতলা তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেখানে ধান রোওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত আমন ধানের রোওয়া হয়েছিল মাত্র ৬৮৯৫ হেক্টর জমিতে। সাধারণ ভাবে জেলায় ৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। আর আউস ধান রোওয়া হয়েছিল ১৫ হাজার ২০২ হেক্টর জমিতে। জেলায় এই চাষ হয় গড়ে ৫৫ হাজার হেক্টরে। গত সপ্তাহের বৃষ্টির পর আরও বেশি পরিমাণ জমিতে চাষ শুরু হয়ে যাবে বলে কৃষি দফতরের আশা। কোন এলাকায় কতটা চাষের বৃদ্ধি ঘটল তার নথি সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে। কৃষি দফতরের আশা, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ২-৩ বার ভারী বর্ষণ হতে পারে। তাহলে আর ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোনও সমস্যা হবে না। |