প্রচার নয়, পদক চান বিকাশ
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক সাফল্য থাকা সত্ত্বেও প্রচারের আলোয় আসতে ঘোর আপত্তি! যে বয়সে গড়পড়তা তরুণরা নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সেই বয়সে তাঁর এশিয়ান গেমসের সোনা-সহ পাঁচটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জেতা হয়ে গিয়েছে। এমন ছেলে আরও খ্যাতি চাইবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। অথচ কুড়ি বছরের বক্সার বিকাশ কৃষ্ণ বলছেন, “প্রচার চাই না। আমাকে অচেনা মুখ হয়েই থাকতে দিন।” সম্ভবত সেই কারণেই বিজেন্দ্র কুমারদের নিয়ে হইচই থেকে দূরে রেখেছেন নিজেকে। “অতিরিক্ত প্রচার ব্যক্তিগত জীবনটাই নষ্ট করে দেয়। এমনকী জোরে কথা বলা, হুল্লোড় করা বা কারও সমালোচনা করার আগে ভাবতে হয়।” হরিয়ানার ভিওয়ানির এই ছেলেকে ঘিরেই লন্ডন অলিম্পিকে পদকের স্বপ্ন দেখছে ভারতীয় বক্সিং দল। বিশ্বের ছ’নম্বর নিজে ডুব দিয়েছেন নিবিড় অনুশীলনে। বিকাশ বলেছেন, “এখানে যদি পদক জিততে পারলে ভাবব দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি।” মাত্র দু’মাস আগেও ৬৯ কেজি বিভাগে বিশ্বের দু’নম্বর ছিলেন। বিকাশের বক্তব্য, বক্সিংয়ে অন্তত র্যাঙ্কিং দিয়ে কিছু প্রমাণ হয় না। তাঁর কথায়, “র্যাঙ্কিং দিয়ে কিছু যায়-আসে না। এক বার রিং-এ ঢুকে পড়ার পরে আপনার উল্টো দিকের বক্সারের র্যাঙ্কিং কী, আপনি বিশ্বের কত নম্বর সব অর্থহীন। আসল হল, কী ভাবে লড়লেন।” রিং-এর ভেতরে সহজাত প্রতিভার পাশে এই শান্ত আত্মবিশ্বাস আর একাগ্রতাই বিকাশের সব থেকে বড় সম্পদ। যার জোরে এ পর্যন্ত সাতটা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেমে পাঁচটা সোনা দু’টো ব্রোঞ্জ জিতেছেন এই তরুণ তুর্কি।
|
আট বছর আগের পদক কাড়া হল কক্সের |
২০০৪ সালে আথেন্স অলিম্পিকের ৪x৪০০ রিলেতে সোনাজয়ী মার্কিন স্প্রিন্টার ক্রিস্টাল কক্সের পদক কেড়ে নিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। কক্স কিছু দিন আগে ডোপিং করার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। যার পরে তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করে আইওসি। ২০০১-২০০৪, এই সময়ের মধ্যে কক্সের জেতা সব পদক কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়। ফলে ২০০৪ অলিম্পিকে তাঁর জেতা রিলে সোনাও কাড়া হয়। তবে কক্সের কারণে গোটা মার্কিন টিমকেই বাতিল করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বিষয়টা আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের উপর ছাড়ছে আইওসি।
|
গেমস ভিলেজে রোহন বোপান্নার সঙ্গে মহেশ ভূপতি। ছবি: পিটিআই |