টুকরো খবর
পথ আটকে গুলিতে খুন
রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে বাঁশ ফেলে মোটরবাইক আটকে এক যুবককে গুলি করে খুন করল একদল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট থানার হিলি-বালুরঘাট রাজ্য সড়কের উপর মালঞ্চা এলাকায়। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম গৌতম মোহান্ত (২৯)। বাড়ি হিলি থানার দক্ষিণপাড়ায়। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগের একটি পুরনো মামলায় এ দিন তিনি বালুরঘাট আদালতে হাজিরা দেন। এর পর আদালতের কাজ সেরে এক বন্ধুকে বাইকের পিছনে বসিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন তিনি। জেলার পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ জানান, যুবক খুনের ঘটনায় জড়িতদের একাংশকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে। ডিএসপি (সদর) উত্তম ঘোষ বলেন, “নিহতের সঙ্গী টিটো রায় নামে বন্ধুকে আটক করে কয়েকজন আততায়ীকে শনাক্ত করা গিয়েছে। নিহত গৌতমের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে লোক পারাপার এবং আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগের মামলা রয়েছে। অবৈধ সীমান্ত ব্যবসা নিয়ে গোষ্ঠীদন্দ্বের জেরে তাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হচ্ছে।” হিলির ওই দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত পুরানো রেষারেষি ছিল। নিহত গৌতমের বালুরঘাট থেকে সুপারি-কিলার দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে ওই গোষ্ঠী ছক কষে গৌতমকে খুন করেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। নিহতের সঙ্গী পুলিশকে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় খুব কাছ থেকে গৌতমের বুকে গুলি করা হয়। দুষ্কৃতীরা দলে ৮-১০ জন ছিল। ঘটনার সময়ে তিনি বাইক নিয়ে বালুরঘাটের দিকে পালিয়ে গৌতমের দিদির বাড়িতে হোসেনপুর এলাকায় গিয়ে হামলার খবর দেন। নিহতের দিদি রীনা দেবী-সহ আত্মীয়রা খবর পেয়ে বালুরঘাট থানায় ছুটে যান। রীনা দেবী বলেন, “আদালতে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে আসি। এরপরই টিটো হামলার খবর দিলে বিশ্বাস করতে পারিনি।” টিটোকে হোসেনপুর এলাকার লোকজন ধরে পুলিশে দেন। এর পর থানার আইসি মনোজ চক্রবর্তী রাস্তার ধারে পড়ে থাকা গৌতমের দেহ উদ্ধার করেন।

গুলির চেষ্টা, নালিশ বধূর
জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিতা বধূর অভিযোগ গ্রহণ করল সমাজ কল্যাণ দফতর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার পিঁয়াজি মোড় এলাকায়। গৃহবধূ সাবিনা বিবির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করছে। এ দিন মারধরের পাশাপাশি পাইপগান দিয়ে গুলি করার চেষ্টা হয়। জেলাশাসক সমস্ত ঘটনা জেনে মহকুমাশাসক পুষ্পেন্দু মিত্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মহিলার দুই পুত্রকে হোমে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়া মহিলাকে মালদহ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই মহিলা জেলাশাসকের কাছে যাওয়ার খবর পেতেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গা ঢাকা দিয়েছে। পাশাপাশি, মহিলা ইংরেজবাজার থানা তাঁকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। পুলিশ সূত্রের খবর, যা শুনে মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল একজন মহিলা অফিসারকে মহকুমাশাসকের দফতরে পাঠান। ওই অফিসার অভিযোগকারিনীকে জানিয়ে দেন, তিনি লিখিত দিলে সঙ্গে সঙ্গেই বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ সুপার বলেন, “ওই মহিলা অভিযোগ করতে চাননি। বরং পারিবারিক নির্যাতন আইনেই নিষ্পত্তি চেয়েছেন। ইংরেজবাজার থানা অভিযোগ নেয়নি, এমন কোনও অভিযোগও তিনি লিখিত ভাবে করেননি।” জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা বলেন, “ওই গবধূ দুই সন্তানকে নিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসার পরে সদর মহকুমাশাসককে ডেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিই।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ বছর আগে রতুয়ার দেবীপুরের সাবিনা বিবির সঙ্গে পেশায় রিক্সাচালক সফিক হোসেনের বিয়ে হয়। সদর মহকুমাশাসক পুষ্পেন্দু মিত্র বলেন, “পারিবারিক নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হলেও আমরা ওই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাই। সেটা সম্ভব না-হলেই আদালতে মামলা করা হবে।”

পিটিয়ে খুন, নালিশ
বোনের বিয়ে নিয়ে গোলমালের জেরে ছেলের বাবাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানার শাহাবানচক গ্রামের তেওয়ারিটোলায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম কার্তিক মণ্ডল (৫৬)। তিনি চাষবাস করতেন। ধৃতের নাম শঙ্কর মণ্ডল। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, কার্তিকবাবুর ছেলে পিঙ্কুর সঙ্গে এলাকার বাসিন্দা শিশির মণ্ডলের মেয়ে ডলির একটি সম্পর্ক ছিল। শিশিরবাবু কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন। এলাকার কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান মুকুলেশ রহমান জানান, সন্ধ্যায় প্রয়াত শিশিরবাবুর স্ত্রী পার্বতীদেবী কার্তিকবাবুর বাড়িতে যান। তিনি মেয়ের সঙ্গে পিঙ্কুর বিয়ের কথা বলেন। সেই সময় পিঙ্কু বাড়িতে না থাকায় কার্তিকবাবু তাঁদের সকালে আসতে বলেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের সামান্য কথা কাটাকাটিও হয়। পরে রাত ১১টা নাগাদ পার্বতীদেবীর চার ছেলে এবং কয়েকজন সঙ্গীকে সঙ্গে কার্তিকবাবুর বাড়িতে যান। তাদের সঙ্গে ডলিও ছিল। তারা ডলিকে ওই বাড়িতে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে প্রথমে বচসা পরে ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় কার্তিকবাবুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে আহত কার্তিকবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “আট জনের নাম খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

বাজ পড়ে মৃত্যু ৬ জনের
জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল ও বামনগোলায় বাজ পড়ে মাদ্রাসার দুই দুই ছাত্র সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে দুজন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত জেলা জুড়েই ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জিয়াউল হক (১০), হায়দার আলি (৯), মইরুদ্দিন শেখ (৪২), লতিফুর রহমান (৩২), আনন্দ কমর্কার ( ৩১)। জেলাশাসক শ্রীমতি অচর্না বলেন, “মৃতদের পরিবারকে সাহায্য দেওয়া হবে।” দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটেও বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক বধূর। বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিরামপুর থানার চন্ডীপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সবেজান বিবি (৩২)। বৃষ্টির সময় মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বাজ পড়লে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।

তদন্তের নির্দেশ
ব্লক ভূমি রাজস্ব দফতরের (বিএলআরও) ভিতরে উনুন জ্বালিয়ে পিকনিকের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বাসুদেব গুহ। বুধবার রাতে বালুরঘাটের বিএলআরও অফিসের রেকর্ড রুমে খড়ির উনুন জ্বালিয়ে মাংস ভাত রান্না করে কর্মীরা পিকনিক করেন বলে অভিযোগ। দফতরের এক কর্মী পদোন্নতির খুশিতে ওই পিকনিকের আসর বসে বলে অভিযোগ। বিএলআরও তাপস দে বলেন, “বিষয়টি জানতাম না। রেকর্ড রুমের মধ্যে পিকনিক করে কর্মীরা অন্যায় করেছেন।” জেলা ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বলেন,“ বিএলআরও-কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা হবে।”

জখম কনস্টেবল
অর্ডার দিয়েও চা না পেয়ে দোকানের কর্মচারীর গায়ে ঠাণ্ডা জল ঢেলে দিয়েছিলেন ক্রেতা। আর ওই ঘটনা থেকে বুধবার রাতে তুমুল গোলমাল হল ইসলামপুর থানার পাটাগোরা এলাকায়। দোকানের ওই কর্মচারীও খেপে গিয়ে ক্রেতার গায়ে গরম জল ঢেলে দেন। তার পরে দু’পক্ষই লাঠি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরের দিকে ধেয়ে যান। চায়ের দোকানটি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গোলমাল থামাতে গেলে উত্তেজিত জনতার হামলায় জখম হন এক মহিলা কনস্টেবল। পরে আরও পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়। দু’পক্ষের ৭ জন জখম হন।

ফব-নেতার মৃত্যু
বেরুবারি আন্দোলনের পূরোধা ব্যক্তিদের অন্যতম নেতা সুধাংশু মজুমদারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর ফবর জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি মানিকগঞ্জ হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার সময় পঞ্চাশের দশকে তিনি বেরুবাড়ি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১০ দিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি তিন পুত্র এবং তিন কন্যা রেখে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ শ্মশানঘাটে তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয়।

নিখোঁজ
দশম শ্রেণির এক ছাত্র নিখোঁজকে কেন্দ্র করে হরিশ্চন্দ্রপুরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। নাম আজিজুর রহমান। সে মহেন্দ্রপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তাঁর বাড়ি গোলা মোড় এলাকায়। বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর খাওয়া-দাওয়া করে গেঞ্জি গায়ে দিয়ে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজ ছাত্রের বাবা মুজিবর রহমান বলেন, “সারা রাত অনেক খোঁজাখুজি করার পরেও ছেলের কোন হদিস পাই নি।”

নয়া সভাপতি
দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মনোনীত হলেন সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাস। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রদেশ যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী সুনির্মলবাবুর নাম ঘোষণা করেন। রীতা রায়ের মৃত্যুর পর ছয় মাস ধরে পদটি ফাঁকা ছিল।

বালকের মৃত্যু
তড়িদাহত হয়ে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কোচবিহার কোতয়ালি থানার ফলিমারি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বালকের নাম সোলেমান হক (১০)। এ দিন বাড়িতেই ওই বালক তড়িদাহত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.