অপহরণের ২৪ ঘন্টা পরেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত স্কুল শিক্ষকের। গত বুধবার বিকালে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহৃত হন সোনাপুরের ধুমডাঙি স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক মহম্মদ হাবিব। সোনাপুর ও ধুমডাঙি মধ্যে একটি সেতুর উপর দুষ্কৃতীরা তাঁকে থেকে অপহরণ করে। মহম্মদ হাবিব চোপড়ায় তৃণমূল শিক্ষা সেলের আহ্বায়কও। ঘটনার পর ওই শিক্ষকের পরিবারের কাছে মোটা টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পড়শিরা শুনেছেন। বিষয়টি পুলিশের কাছেও পৌঁছেছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ টাকা কীভাবে চাওয়া হয়েছে তা নিয়ে পুলিশ বা অপহৃতের পরিবারের তরফে কেউ কিছু বলতে চাননি। ওই শিক্ষকের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন বলেন, “দুষ্কৃতীরা সম্ভবত টাকার লোভে অপহরণ করেছে। তবে কেউ মুক্তিপণ চেয়ে টেলিফোন করেননি।” ইসলামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুবিমল পাল বলেন, “মুক্তিপণের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই শিক্ষককে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।” পুলিশ তদন্তে জানাত পেরেছে, জেলার সোনাপুর এলাকাতে হাবিববাবু বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। হাবিববাবুর স্ত্রী সাফিয়া দেবী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের সাহায্য করেন বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। ওই শিক্ষকের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কয়েকমাস আগে চোপড়া ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের লোকেদের সঙ্গে বচসা হয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অপহৃতের স্ত্রী সাফিয়া দেবী বলেন, “এলাকার কিছু লোক ব্যাঙ্ক ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না পেয়ে আমাদের বাড়ি এসে ঝামেলা করেছিল। তবে তাঁরা কেউ হুমকি দেয়নি।” ঘটনার দিন হাবিববাবু শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছিলেন। সোনাপুরের আগে ৬ জন দুষ্কৃতী গাড়ি করে এসে শিক্ষককে বাইকটি আটকায়। দুষ্কৃতীরা গাড়িতে করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এলাকার কিছু লোক দুষ্কৃতীদের তাড়া করলেও তাদের ধরতে পারেনি। এর পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ধুমডাঙি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার সরকার বলেন, “স্কুলে ওই শিক্ষক সময় মতই এসেছিলেন। রাতে এক শিক্ষক টেলিফোন করে অপহরণের বিষয়টি জানান। ওঁর সঙ্গে কারও ঝামেলা কথা জানা নেই।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবকুমার অগ্রবাল বলেন, “বিষয়টি রাজনৈতিক নয়।” |