ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় অভিযুক্ত ১৪ জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার শেষ দু’জনও আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন। ওই দুই অভিযুক্ত আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল এবং রাহুল তোদি ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন। ২৯ জুন তাঁদের আগাম জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দু’জনকেই ১৫ দিনের মধ্যে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে বলা হয়েছিল।
এ দিন সেই জামিন পর্বে বিচারক দীপেন্দ্রনাথ মিত্র সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য শুনতে চান। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিচারক দু’জনকে জামিন দেন। সেই সঙ্গে তাঁদের হাতে চার্জশিটের প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়। আদালতে ওই দু’জনের আত্মসমর্পণের করেন আইনজীবী সেলিম রহমান। আদিত্যবর্ধন ও রাহুল জামিন পাওয়ায় আমরি-কাণ্ডে অভিযুক্ত ১৬ জনের সকলেই জামিন পেয়ে গেলেন। তবে প্রত্যেককেই আগামী ২০ জুলাই ফের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর ওই অগ্নিকাণ্ডে আমরির ন’জন ডিরেক্টার-সহ ১৩ জন অভিযুক্ত কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। সেই সময় প্রতিষ্ঠানের তিন ডিরেক্টর প্রীতি সুরেখা, আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল এবং রাহুল তোদি গা-ঢাকা দেন। তাঁদের ধরার জন্য প্রথমে ‘হুলিয়া’, পরে ‘লুক-আউট’ নোটিস জারি করা হয়। পরে অবশ্য হুলিয়া জারির আইনগত বৈধতা না-থাকায় আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়। তিন ফেরার অভিযুক্ত ধরা পড়ার আগেই জামিন পেয়ে যাওয়ায় তাঁদের জেরা করার সুযোগ পেল না গোয়েন্দা পুলিশ।
এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রণব দাশগুপ্ত তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বিচারক জামিনের শর্ত শিথিল করে তাঁকে সেই অনুমতি দেন। তবে ১৪ অগস্টের মধ্যে তাঁকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |