|
|
|
|
কেন্দ্রীয় আর্থিক বরাদ্দ আসতে বিলম্ব |
সড়ক সংস্কার করতে উদ্যোগী ব্যবসায়ীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বেহাল ৩১ (সি) জাতীয় সড়ক আমূল সংস্কারে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক বরাদ্দ দিতে সম্মত হলেও টাকা হাতে পেতে বছর গড়িয়ে যাবে। আপাতত দুর্ঘটনা এড়াতে গর্ত বোজানোর জন্য প্রয়োজনীয় টাকা নেই পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের হাতে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তবের হস্তক্ষেপে শিলিগুড়ি-পানিট্যাঙ্কি সড়ক সারাতে এগিয়ে এলেন ফোসিন, সিআইআই, নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতি-সহ শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী মহল। মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৩০ হাজার কিউবিক ফুট পাথর ও বালি সরবরাহ করবেন তাঁরাই। পূর্ত দফতরের ঠিকাদাররা শ্রমিক সরবরাহ করবে। পূর্ত দফতর তার উপরে পিচ ঢেলে যান চলাচলের যোগ্য করে তুলবে বলে ঠিক হয়েছে। মহকুমাশাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার নকশালবাড়ি বিডিও অফিসে এই ব্যাপারে বৈঠক হয়। ঠিক হয়, আজ, শুক্রবার থেকেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। মহকুমাশাসক বলেন, “কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেতে সময় লাগবে জেনে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সাহায্য চাই। তাঁরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন সেটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।” শিলিগুড়িতে সামাজিক কাজকর্মে ব্যবায়ীদের অংশগ্রহণ আগেও ঘটেছে। বন্যা, খরায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও ১৯৮৯ সালে শিলিগুড়িতে নেহরু কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার সময়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম তৈরির জন্যও ফোসিনের উদ্যোগে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হয়। ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “প্রশাসন সহযোগিতা চাওয়ায় সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত মেরামতির কাজ হবে।” গলগলিয়া থেকে বাগডোগরা পর্যন্ত ৩৭.৫ কিলোমিটার রাস্তা কয়েক বছর ধরেই বেহাল। পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক-৯ বিভাগের পক্ষ থেকে দু’বছর আগে প্রায় ৪২ কোটি টাকার প্রস্তাব দুটি ভাগে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকে পাঠানো হলেও মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গলগলিয়া থেকে পানিট্যাঙ্কি পর্যন্ত অংশের সংস্কার অনুমতি মিলেছে। বাকি অংশের বরাদ্দ মেলেনি। চলতি বর্ষায় রাস্তাটি পুরোপুরি বেহাল হয়ে পড়লে আন্দোলনে নামে সিপিএম। শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেটও আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দেয়। গর্ত বোজানোর বরাদ্দও না-মেলায় বিপাকে পড়তে হয় পূর্ত দফতরের কর্তাদের। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী মহলের সাহায্য চান মহকুমাশাসক। পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক-৯ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন, “শুক্রবার থেকেই রাস্তার পাশে বালি পাথর ফেলা হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই গর্ত বোজানোর কাজ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এলে আমূল সংস্কার হবে।” রাস্তা সংস্কারের সিদ্ধান্তে খুশি সিপিএমের হাতিঘিষা লোকাল কমিটিও। যদিও রাজ্য সরকার কেন বরাদ্দ দিতে পারছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|