|
|
|
|
কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্বে প্রশ্ন পুর-ভাবমূর্তি নিয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে দুই কাউন্সিলরের মতবিরোধ ক্রমশ বাড়তে থাকায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পরিচালিত পুরবোর্ডের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করেন কংগ্রেস এবং তৃণমূল উভয় দলের অনেক কাউন্সিলরই। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে জেলা নেতৃত্বের একাংশ উদ্বিগ্ন। দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি শহরের বাইরে রয়েছেন। ফিরলে উভয় কাউন্সিলরকে নিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সমস্যা মেটাতে তিনি উদ্যোগী হবেন বলে তাঁরা আশাবাদী। কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের এই পুরবোর্ড সম্পর্কে জনমানসে যাতে খারাপ প্রতিক্রিয়া না হয় সে জন্য দুর্নীতির ব্যাপারে প্রশ্ন উঠলে তার তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশের দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। তিনি বলেন, “এ ধরনের বিষয় নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়াটাই কাম্য।” পুরসভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় দলের কাউন্সিলরদের নিয়েও গৌতমবাবু শীঘ্রই আলোচনায় বসবেন। প্রয়োজনে এর পর জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী তিনি। সম্প্রতি পুরভবনে অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজয় ঘটক। ঘটনাচক্রে, তার পরেই সুজয়বাবুর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা। তিনি অভিযোগ করেন, অ্যাসেসমেন্ট বিভাগে ঢুকে ওই কর্মীকে ফাঁসিদেয় দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর পরেই সুজয়বাবু তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলার দাবি জানিয়ে পুর কমিশনারের কাছে চিঠি লিখে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন। কিন্তু, তদন্তের অগ্রগতি না-হওয়ায় কংগ্রেসের অন্দরেই ক্ষোভ দানা বাঁধছে। দেবশঙ্করবাবু বলেন, “ঘটনার তদন্ত করছেন পুর কমিশনার। তাকে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। সুজয়বাবু আমাকে লিখিত অভিযোগ জানালে নিশ্চয়ই তাঁর বিষয়টি দেখা হত।” কংগ্রেসের একাধিক নেতা জানান, দুর্নীতিতে অভিযুক্তের যাতে শাস্তি হয়, সে জন্য দলের তরফে পদক্ষেপ করা হবে। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমে কেউ উদ্ধত আচরণ করছেন, এমন অভিযোগ ওঠাও বাঞ্ছনীয় নয় বলে জেলা কংগ্রেসের একজন প্রবীণ নেতা মনে করেন। এ ব্যাপারে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক তথা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “সবই নজরে রয়েছে। কংগ্রেস দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে না। তবে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যাতে উদ্ধত আচরণের অভিযোগ না-ওঠে, সেই ব্যাপারেও কাউন্সিলরদের সতর্ক থাকা উচিত। শীঘ্রই পুরসভার নানা ব্যাপারে দলীয় পর্যায়ে আলোচনা ডাকা হবে।” সুজয়বাবু অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা যে মিথ্যে সেটা পুর কমিশনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই স্পষ্ট হবে। |
|
|
|
|
|