|
|
|
|
বাজারে এসডিও |
সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কাঁচা সব্জির দাম নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে বাজার ঘুরলেন শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব। এমনকী বিধান মার্কেট পরিদর্শনের সময় কয়েক জন ক্রেতা বেশি দাম দিয়ে সব্জি কিনেছেন অভিযোগ জানালে মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে বাড়তি দাম ফেরত দিতে হয়েছে বিক্রেতাকে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, চম্পাসারি বাজার, গুরুঙ্গবস্তির মতো কয়েকটি বাজার ঘুরে নজরদারি চালান খোদ মহকুমাশাসক এবং নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির লোকজন। দাম নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন পাইকারে বাজারে সব্জির দাম এবং খুচরো বাজারে সম্ভাব্য দর জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৪/৫ দিনের তুলনায় বাজারে সব্জি কিছুটা কম দামেই এ দিন পেয়েছেন বাসিন্দারা। তবে সব্জির পাইকারি বাজার দর এবং বাসিন্দারা যে দামে খুচরো বাজার থেকে কিনছেন তার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। সে ক্ষেত্রে খুচরো বাজারে সব্জির দাম আরও কিছুটা কম হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। |
|
বিধান মার্কেটের সব্জি বাজার পরিদর্শন করছেন শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব। ছবি: কার্তিক দাস। |
মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “বাজারগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাইকারে বাজারে সব্জির দর এবং খুচরো বাজারে কী দাম হওয়া উচিত তা প্রতিদিন জানিয়ে দেওয়া হবে। তার চেয়ে বেশি দামে সব্জি বিক্রির অভিযোগ পেলে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিন জন ব্যবসায়ীর বাটখারায় কারচুপির অভিযোগ পেয়ে তা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন বিধান মার্কেট বাজারে কিলোগ্রাম প্রতি কাঁচা লঙ্কার বাজার দর ছিল ১০০ টাকা, টম্যাটো ৩৫ টাকা, পটল ২০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, শশা ১২/১৫ টাকা, করলা ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৬ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা, ঝিঙে ১৬ টাকা দরে বিকিয়েছে। হায়দরপাড়া বাজার, সুভাষপল্লি বাজার, রথখোলা রবীন্দ্রনগর বাজারে কমবেশি এমনই দর ছিল। রবীন্দ্রনগর বাজারে প্রতি কিলোগ্রাম বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা, মুলো ২০ টাকা, শশা ২০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকায়। হায়দরপাড়া বাজারে পটল বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা কিলোগ্রাম দরেও। শশা, ঝিঙে, ঢেঁড়স ২০ টাকা দরে। অথচ শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজারে এ দিনের দর ছিল প্রতি কিলোগ্রাম ঢেঁড়স, পটল ৭/১০ টাকা, ঝিঙে ৭ টাকা, বেগুন ১০/১২ টাকা, করলা ৮/১০ টাকা। ওই পাইকারি বাজারে কাঁচা লঙ্কার দর ছিল ৬০/৭৫ টাকা। দরের এই ফারাক কেন? বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ী সব্জি বিক্রেতা বিকাশ সাহা, বৈদ্য কুণ্ডুরা দাবি করেন, নিয়ন্ত্রিত পাইকারি বাজারের সব্জি বিক্রেতারা যে দাম দিচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। অনেক ক্ষেত্রে পাকা রসিদ দিচ্ছেন না। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। বাজার থেকে বার হওয়ায় সময় যে লেভি তারা সংগ্রহ করেন তাতেও কারচুপি করছেন। মহকুমা প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিধান মার্কেটে এক ব্যবসায়ী ক্রেতার কাছ থেকে ২৪ টাকা দরে পটল বিক্রি করেন। ক্রেতা ৫০০ গ্রাম পটল কিনেছিলেন। দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ জানালে বিক্রেতাকে ২ টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। |
|
|
|
|
|