|
|
|
|
কালিম্পং |
ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক, নাকাল যাত্রীরা |
নমিতেশ ঘোষ • রম্ভি |
রাতভর বৃষ্টির জেরে কালিম্পঙের কাছে রম্ভি এলাকায় ধস নামায় ৩১ (এ) জাতীয় সড়ক বৃহস্পতিবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই দিন সকাল ৯টা থেকে কালিম্পং ও সিকিমের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাত পর্যন্ত ধস সরানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। বিপাকে পড়েছেন দেশ-বিদেশের শতাধিক পর্যটক। সিকিম, কালিম্পং থেকে বাগডোগরায় বিমান ধরতে রওনা হয়ে অনেকেই আটকে পড়েন সেখানে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “ধস সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু হয়েছে। রাতের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে।” কালিম্পংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংমিত লেপচা জানান, সীমান্ত সড়ক বাহিনীর কর্মীরা ধস সরানোর কাজ করছেন। |
পথে আটকে
|
ধসে বন্ধ সিকিমগামী ৩১ এ জাতীয় সড়ক। বৃহস্পতিবার কালিম্পঙের রম্ভির কাছে কার্তিক দাসের তোলা ছবি। |
চলতি মাসেই জিটিএ ভোট। ভরা বর্ষায় এমন ঘনঘন ধস নামলে ভোট প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কাও রাজনৈতিক দলগুলি উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে দার্জিলিঙের জেলাশাসক জানান, যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে ধস সরানোর কাজ করার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার সারা রাত কালিম্পংয়ে বৃষ্টির পরে সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে ধস শুরু হয়। তার মধ্যেই যান চলাচল করছিল। বেলা ৯টা নাগাদ বড় মাপের ধসে আটকে যায় প্রায় ৫০ মিটার রাস্তা।
ধস সরানোর কাজ শুরু হতে ১১টা বেজে যায়। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে কয়েকশো গাড়ি। কলকাতা থেকে ছয় বন্ধু মিলে গ্যংটকে ঘুরতে গিয়ে ধসে আটকে পড়ে রাকেশ ঝা বলেন, “যান চলাচল কখন স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট কোনও সময় দেওয়া হয়নি। এভাবে কতক্ষণ থাকতে হবে কে জানে।”
পটনা থেকে পরিবার নিয়ে সিকিমে ঘুরতে যাচ্ছিলেন হেমন্ত শুক্লা। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে পারে। কিন্তু একটা সময়ের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া উচিত।” ব্যক্তিগত কাজে বাসে গ্যাংটক যাচ্ছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা সুরেশ গৌর। তিনি জানান, যেখানে ধস হয়েছে তার আশেপাশে কোনও দোকান না থাকায় সারা দিন তাঁদের না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সম্রাট সান্যাল জানান, গ্যাংটক থেকে বাগডোগরা যাচ্ছিলেন মেক্সিকোর ৬ জনের একটি পর্যটকের দল। তাঁরা ওই ধসে আটকে পড়ে বিমান ধরতে পারেননি। |
|
|
|
|
|