|
|
|
|
সভাতেই স্পিকারের সঙ্গে ভিন্নমত সুব্রতের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোনও বিধায়কের অনুপস্থিতির জন্য বিধানসভার অনুমতি নেওয়াকে ঘিরে স্পিকারের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিল বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। বিধানসভার মধ্যেই। বিধানসভার অধিবেশনের প্রথমার্ধে বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং আরএসপি-র বিধায়ক সুভাষ নস্করের অনুপস্থিতির জন্য ‘ছুটি’র আবেদন পাঠ করে সভার অনুমতি চান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য অমিতবাবু লাস ভেগাসে। সুভাষবাবু দিন কয়েক অসুস্থ। স্পিকার তাঁদের ছুটির আবেদনের চিঠি সভায় পাঠ করার পরে সকলে সম্মতি জানান। এর পরেই মন্ত্রী সুব্রতবাবু দাঁড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি বহু বছর বিধানসভার সদস্য। বরাবর দেখে আসছি, মন্ত্রীরা না-এলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ও সাধারণ বিধায়কেরা না-এলে স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়। সভার অনুমতি নেওয়ার কী যুক্তি, বুঝতে পারছি না!” সুব্রতবাবুর আরও মন্তব্য, “কোনও সদস্য ছুটিতে আপত্তি করলে কি অসুস্থ সদস্য চিকিৎসা না-করিয়ে মারা যাবেন?” স্পিকার বলেন, “নিয়ম মেনেই যা করার করছি। আপনার বক্তব্য আমি রুল কমিটিতে জানাব।” এর পরেও সুব্রতবাবু বলেন, “এমন কিন্তু আগে কখনও হয়নি!” সভার বাইরে স্পিকার বা সুব্রতবাবু, কেউই মুখ খোলেননি। তবে অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধেও এ দিন সুব্রতবাবুকে নিয়ে বিতর্ক হয়। চলতি অধিবেশনে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, স্পিকার কিছু বলার পরে সরকার পক্ষের তরফে সুব্রতবাবু ‘পয়েন্ট অফ অর্ডার’ এনে কিছু ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কখনও স্পিকারকে প্রস্তাব দিচ্ছেন। কেন্দ্রর কাছে সর্বদল প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময়ে এ দিনও তিনি তা-ই করেন। তার পরে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্যের সময়ে সুব্রতবাবু আবার উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে গেলে বিতর্ক বাধে। সূর্যবাবু প্রতিবাদ করে বলেন, সুব্রতবাবু কি স্পিকার? বা পরিষদীয় মন্ত্রী? বারবার তিনি কথা বলবেন কেন? বিরোধী পক্ষের বাধায় সুব্রতবাবুকে মন্তব্য স্থগিত রেখে বসে পড়তে হয়। |
|
|
|
|
|