|
|
|
|
চিদম্বরমের কাছে তৃণমূলের নামে নালিশ কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কাছে জোট শরিক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। কলকাতায় ঝটিকা সফরে চিদম্বরম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদেশ দফতরে যান। সেখানে জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় রাজ্যে তাঁদের ‘কঠিন’ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে তাঁকে জানান অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সিরা। চিদম্বরম তাঁদের বলেন, একই অবস্থা তামিলনাড়ুতেও। সেখানে চল্লিশ বছর কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই। হাইকম্যান্ড বাংলার পরিস্থিতি জানে। ঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ড।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইউপিএ প্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার জন্য বিধায়ক, সাংসদদের কাছে আবেদন জানান চিদম্বরম। প্রণববাবু যে ৬৫% ভোট পাবেনই, তা ‘নিশ্চিত’ বলে তিনি কংগ্রেস নেতাদের জানিয়েছেন। তিনি এও বলেন, এই প্রথম এক জন বাঙালি রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। এটা বাঙালিদের ‘গর্ব’। প্রদেশ দফতরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চিদম্বরম নেতাদের ক্ষোভের কথা শোনেন। দলীয় সূত্রের খবর, শরিক হয়েও কংগ্রেসকর্মীরা তৃণমূলের কর্মীদের ‘নিগ্রহের’ শিকার হচ্ছেন বলে অধীর-দীপা-মানসরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে নারী-নিগ্রহ বাড়ছে। রায়গঞ্জে জমি থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তিতেই যে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল করতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে চিদাম্বরমের কাছে দীপা অভিযোগ করেছেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে চিদাম্বরমের কাছে অধীর নাম না করে মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। পরে তিনি বলেন, “আমি ওঁকে বলেছি, পাহাড় থেকে জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরাতে আপনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু সব কৃতিত্ব দিতে হবে এখানকার জোয়ান অফ আর্ককে। উনি কৃতিত্বের ভাগ অন্য কাউকে দিতে চান না।”
রাজ্যে কংগ্রেস নেতা থেকে কর্মীদের কী ভাবে ‘হেনস্থা’র শিকার হতে হচ্ছে, তা বোঝাতে পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব এ দিন বিধানসভার ঘটনা তুলে ধরেন। রাজ্যের ঋণের উপর সুদ স্থগিত রাখার আর্জি জানাতে দিল্লিতে সর্বদল দরবার করতে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকার যে প্রস্তাব এনেছিল তার উপর সোহরাবের দেওয়া সংশোধনী গৃহীত হয়নি। কংগ্রেসের প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাদের বিধায়কদের বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করতে হয়। এই প্রসঙ্গ তুলে সোহরাব বলেন, তাঁরা যে সরকারে আছেন তা বুঝতে পারেন না। |
|
|
|
|
|