|
|
|
|
সরছে না যৌথবাহিনী |
ফের জোট বাঁধছে মাওবাদীরা, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেক ভাল হলেও দুশ্চিন্তার ছায়া সরেনি বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গল থেকে। সেখানে মাওবাদীরা এখনও জোট-বাঁধার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের এই ‘রি-গ্রুপ’ করার খবর পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও। চিদম্বরমের কথায়, “ঠিক সেই কারণেই এই রাজ্য থেকে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে না। এখনও এই রাজ্যে যৌথবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রয়ে গিয়েছে।” রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে দাবি জানিয়ে এসেছিলেন, ক্ষমতায় আসার পরে তিনিও সেই দাবি থেকে সরে এসেছেন। বস্তুত, তাঁরই সময়ে এই রাজ্যের জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন মাওবাদী শীর্ষ নেতা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি। মনে করা হয়, তাঁর মৃত্যুর পরেই এ রাজ্যে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে মাওবাদী আন্দোলন।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সাফল্যের প্রচারে মন্ত্রীসভায় তাঁর সহকর্মী, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিব্বলকে নিয়ে কলকাতায় এসে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলের পরিস্থিতির প্রসঙ্গ নিজেই তোলেন চিদম্বরম। বলেন, “তিন রাজ্যে (ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়) এখনও মাওবাদীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অনেক ভালো। এই রাজ্যের তিনটি জেলা এখন অনেকটাই দুশ্চিন্তা-মুক্ত।” শুধু মমতা সরকারের নয়, এ কারণে বামফ্রন্ট সরকারকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন চিদম্বরম। তাঁর কথায়, “মাওবাদী দমন সংক্রান্ত কেন্দ্রের নীতি সিপিএম ও তৃণমূল সরকার সফল ভাবে প্রয়োগ করেছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।”
তবে, এই রাজ্যেও যে মাওবাদীরা আবার নতুন করে নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে সে কথাও তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেছেন, “উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। সেই কাজের মধ্য দিয়েই মাওবাদীদের মোকাবিলা করতে হবে।” তা হলে ঠিক কবে এ রাজ্য থেকে যৌথ বাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, “কবে সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে তা এই রাজ্যের পুলিশের ডিজি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তারা বলতে পারবেন। এটা কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচার্য হবে।” |
|
|
|
|
|