অধ্যক্ষকে ফের ফোনে হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নৈহাটি |
খুনের হুমকি দিয়ে ‘উড়ো ফোন’ আসছে বলে ফের থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম সান্ধ্য কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস ভৌমিক। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় সিংহ।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রের খবর, গত ১৫ জুনও ‘হুমকি-ফোন’ এসেছিল অধ্যক্ষের কাছে। বুলেট নামে এক দুষ্কৃতী দেবাশিসবাবুকে টেলিফোনে বলে, যে সব ছাত্রছাত্রী এ বার পার্ট-১ পরীক্ষায় ফর্ম ভর্তি করতে পারেননি, তাঁদের সকলকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। সে সময়ে ফর্ম ভর্তির তারিখ পেরিয়ে গিয়েছিল। সে কথা দেবাশিসবাবু টেলিফোনে বললেও হুমকি চলতে থাকে। বুলেট একই দিনে একাধিক বার অধ্যক্ষকে ফোন করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা নৈহাটি থানায় লিখিত ভাবে জানান দেবাশিসবাবু। সে দিনই গ্রেফতার করা হয় কাঁকিনাড়ার ওই দাগি দুষ্কৃতীকে। বর্তমানে সে জেল-হাজতে। এরই মধ্যে একই নম্বর থেকে ফের একই দাবি তুলে ‘হুমকি-ফোন’ আসায় আতঙ্কিত অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “আমাকে কলেজে ঢুকে গুলি করে মেরে ফেলবে বলেছে। আমি বোঝানোর চেষ্টা করে বলি, পার্ট-১ এর পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফর্ম ভর্তির আর প্রশ্নই নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আমাকে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল হাজত থেকে কেউ ফোন করছে না। ওই একই নম্বর থেকে অন্য কোনও যুবক ফোন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলেজ সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে জনা ১০-১২ ছেলে দু’এক দিন মাত্র কলেজে এসেছে। এদের জন্যই ‘তদ্বির’ করা হতে পারে। কিন্তু সেই ছাত্রেরা কারা, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে পারেননি অধ্যক্ষ। বস্তুত, গত এক বছর ধরেই এই কলেজে নানা ডামাডোল চলছে। মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রেরা ক্লাসে আসে বলে অভিযোগ। এসএফআইয়ের হাত থেকে ছাত্র সংসদের ক্ষমতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দখলের পর থেকেই গোলমাল বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সে কথা অবশ্য মানতে নারাজ কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য তথা নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। |
হাবরায় রাস্তার কাজ শুরু, খুশি গ্রামবাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
দীর্ঘদিন আন্দোলনের পরে অবশেষে সংস্কার শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা-১ ব্লকের কুমড়ো পঞ্চায়েতের অধীন দু’টি রাস্তার। ঝামা-ভ্যাটেসের রাস্তা দু’টি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। রাস্তাদু’টি সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নামেন গ্রামবাসীরা। স্মারকলিপি থেকে শুরু করে অবরোধ, ঘেরাও কোনও কিছুই বাদ ছিল না। অবশেষে নতুন করে রাস্তাটি তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় গ্রামবাসীরা খুশি। প্রশাসন সূত্রের খবর, একটি রাস্তা মাতালতলা থেকে রুদ্রপুর পর্যন্ত। রাস্তাটি প্রায় ৭ কিলোমিটার। অন্যটি বুদোর আটি মোড় থেকে সোনাকানিয়া (ভায়া বলাডাঙা) পর্যন্ত। এটি প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। দু’টি রাস্তাই পিচের করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এবং হাবরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ওই উপলক্ষে স্থানীয় খারো বাজার এবং রুদ্রপুর বাজারে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন, কর্মাধ্যক্ষ রত্না বিশ্বাস, রিঙ্কু ঘোষ প্রমুখ। বহু গ্রামবাসী ভিড় করেছিলেন। জাকির হোসেন বলেন, “রাস্তাদু’টি প্রায় ১২ বছর ধরে বেহাল ছিল। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচে রাস্তাদু’টি তৈরি করা হবে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।” প্রশাসন সূত্রের খবর, “পিচের রাস্তা ১২ ফুট চওড়া হবে। দু’পাশে ২ ফুট করে ঝামা-ভ্যাটেসের ফুটপাথ থাকবে। ওই দু’টি রাস্তা দিয়ে অটোরিক্সা-সহ বহু যানবাহন চলাচল করে। চাষিরা খেতের ফসল ভ্যানে করে হাটেবাজারে নিয়ে যান। স্কুল পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। |
ঘরছাড়াদের ফেরানোর আর্জি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
গোঘাটের ‘ঘরছাড়া’ সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ফেরাতে পুলিশের কাছে দরবার করলেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আরামবাগের এসডিপিও-র সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী। গোঘাটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে সুদর্শনবাবুর দাবি, “গত কয়েক দিনে গোঘাটে আমাদের দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। বদনগঞ্জ, পশ্চিমপাড়া প্রভৃতি গ্রামে তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের লোকজনকে মারধর করছে। পুলিশ এই পরিস্থিতি বন্ধ করতে বিশেষ সক্রিয় নয় বলে আমাদের বিশ্বাস।” এসডিপিও বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। ঘরছাড়াদের ফেরানোর বিষয়টি দেখা হবে।” এ দিন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি প্রহৃত সিপিএম কর্মী সিধু কিসকুকে দেখতে যান সুদর্শনবাবু। সন্ত্রাসের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। নাম রামচন্দ্র মাহাতো (৬০)। বাড়ি কাকদ্বীপের নারায়ণপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে টুলু পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগের সময় ওই ঘটনা ঘটে। রামবাবুকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। |