বিবাহের দিন ঠিক হয়ে যাওয়ার পরে এক তরুণীকে নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে এক বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মেয়েকে লুকিয়ে রাখায় ওই বৃদ্ধাকে মারধর ও তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর করার অভিযোগে ওই তরুণীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতেদর নাম পুষ্পা দাস ও রাজকুমার মণ্ডল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও কয়েকজনকে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মির্জাপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ছিল রাজকুমার মণ্ডলের মেয়ে তপতীর বিয়ে। হবু স্বামী রতন সর্দারের বাড়ি শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে। কিন্তু গত রবিবার বিকেলের পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তপতী। সোমবার পরিবারের তরফে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ জানায়, ওইদিনই রাত ১০টা নাগাদ বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনের কাছে স্বপন দাসের বাড়িতে যায় তপতী। পরে তার কথামতো হবু স্বামীকে ফোন করে সেখানে ডাকা হয়। |
ডাকা হয় তপতীর বাবাকেও। তপতী পরে পুলিশকে জানায়, সেখানে স্বপনবাবুর মা তাকে ভুল বুঝিয়ে আটকে রেখেছিল। কিন্তু কেন সে ওই বাড়িতে গেল তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তপতী। সোমবার রাতেই রাজকুমারবাবু মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার তপতী বাড়িতে কীটনাশক খায়। তাকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই অবস্থায় তার হবু স্বামী বিয়েতে বেঁকে বসেন। ইতিমধ্যে এলাকায় চাউর হয় যে পুষ্পদেবী তাঁর নাতি রাকেশের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য তপতীকে আটকে রেখেছিলেন। এর পরেই তপতীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা রাগে পুষ্পদেবীর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর শুরু করে। মারধর করা হয় রাকেশের বাবা তপনাবুকেও। তাঁর বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পুষ্পদেবীকে এবং রাজকুমার মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। |