‘মার্ডার সিন্ডিকেট’-এর আরও দু-জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অনিমেষ ঘোষ ও হালিম শেখ নামে সেই দুই সমাজবিরোধীকে বুধবার রাতে বহরমপুর লাগোয়া চুঁয়াপুরের পাকুড়িয়ায় তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। ঠিকাদার প্রণব মুখোপাধ্যায় খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই দু-দনের বিরুদ্ধেই।
গত ১৯ এপ্রিল বহরমপুর শহর লাগোয়া ব্যস্ততম এলাকা সুকান্তপল্লিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন প্রণব। ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করা মোটরবাইক ও দুটি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন-সহ ৫ রাউন্ড গুলি ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “চোঁয়াপুরের খুনের ঘটনায় ওই দু-জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তিরা সরাসরি ওই খুনের ঘটনায় জড়িত না থাকলেও দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করা মোটরাবাইক ও পিস্তল নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল।” এসপি জানান, ঘটনার পরেই চোঁয়াপুরের বাড়িতে গিয়ে অনিমেষের কাছে ওই মোটরবাইক ও পিস্তল জমা দিয়ে চলে যায়। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত দু-জনকে গ্রেফতার করার পরেই তাদের জেরা করে পুলিশ অনিমেষের কথা জানতে পারে। এ দিকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে অনিমেষ ওই মোটরবাইক ও পিস্তল প্রতিবেশী হালিমের কাছে রেখে দেয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। বুধবার রাতে স্পেশাল অপারেশন স্কোয়াড ও বহরমপুর থানার পুলিশ এক যোগে হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, এখন পর্যন্ত মার্ডার সিন্ডিকেটের ১১ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
এর পাশাপাশি ইসলামপুর থানার পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর-আজমতপুরে একটি অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেয়েছে বলেও এ দিন হুমায়ুন কবীর জানান। বৃহস্পতিবার সকালে ওই অস্ত্র কারখানায় হানা দিয়ে পুলিশ আবদুল মান্নান খান নামে এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে ফেলু শেখ ও রকিব শেখ নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসপি বলেন, “ওই অস্ত্র কারখানায় হানা দিয়ে দুটো বড় নলা পাইপগান, ১টি মাস্কেট, থ্রী নট থ্রী ও ১২ বোরের ১৪ রাউন্ড গুলি, ৫০০ গ্রাম বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়েছে।” |