|
|
|
|
দাসপুরের বাজারে বচসা চাষি ও নজরদারি দলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
সব্জির মূল্যবৃদ্ধি-নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক-ফোর্স বাজার-পরিদর্শনে গেলে ধুন্ধুমার বাধল দাসপুরের সোনামুই বাজরে। বৃহস্পতিবার সকালে টাস্ক-ফোর্সের সদস্যরা দাসপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাজারে অভিযান চালান। বাজার দর বুঝতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তখনই চাষিদের একাংশ, যাঁরা বাজারে নিজেদের উৎপাদিত সব্জি বিক্রি করতে এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে বচসা বাধে প্রশাসনের প্রতিনিধিদের। চাউর হয়ে যায় সব্জির দাম কমাতে সরকারি লোকজন বাজারে এসেছে। চাষিরা জোট বেঁধে বলতে শুরু করেন, ইচ্ছে করে জিনিসের দাম বাড়ানো হয়নি। উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাওয়াতেই সব্জির দাম বেড়েছে। দাম কমালে চাষির পেটে টান পড়বে। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও হয়। চাষিরা ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক অবরোধ করেন। বন্ধ হয়ে যায় কেনা-বেচা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়েন টাস্ক-ফোর্সের সদস্যরা। পরে দাসপুর থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, ‘‘ভুল বুঝাবুঝির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। পরে তা মিটেও যায়। মহকুমার সব বাজারেই আগামী দিনে এই অভিযান চলবে।”
মহকুমাশাসকের নির্দেশে এ দিন সকালে ঘাটালের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট প্রণবকুমার পালের নেতৃত্বে ৪ জনের একটি দল ও দাসপুর থানার পুলিশ সোনামুই বাজার পরিদর্শনে যায়উ। ঘাটাল মহকুমার অন্যতম সব্জি বাজারের এটি। এখানে এ দিন কিলো প্রতি বেগুন ২০ টাকা, ঝিঙে ২২ টাকা, পটল ২৫ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারি দরে কিলো প্রতি ২-৩ টাকা দাম বেশি ছিল। মূলত এলাকার চাষিরাই পাইকারি দরে সব্জি বিক্রি করছিলেন। টাস্ক-ফোর্সের সদস্যরা দামের বিষয়ে জানতে চাইলে খেপে যান চাষিরা। তাঁদের মতে, “বীজ, সার, কীটনাশক সবেরই দাম বেড়েছে। চাষের কাজে মজুরিও বেড়ে গিয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলনও বেশি হয়নি। ফলে, দাম তো বাড়বেই।”
ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান আধিকারী অবশ্য বলেন, “একই বাজারে একই জিনিসের দামের তারতম্যের কারণ চাষিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বিষয়টি ওঁরা বুঝতে পারেননি।” |
|
|
|
|
|