|
|
|
|
ঘাটালে মজুরি না মেলায় ক্ষতিপূরণের দাবি শ্রমিকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেও টাকা না পাওয়ায় এ বার ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রায় সত্তর জন শ্রমিক। এ ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। স্থানীয় ‘আমবাগান পুকুর সংস্কার’ ও ‘সিংহপুর বামনাপুকুর সংস্কার’ প্রকল্পে ওই শ্রমিকরা সেই গত ফেব্রুয়ারিতে কাজ করেছিলেন। কিন্তু এখনও মজুরি পাননি। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সম্প্রতি জেলাশাসকের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনকারীদের পক্ষে ভোম্বল হেমব্রম, শুভাশিস মণ্ডল, সুমিতা মান্ডি, অণিমা দোলুইদের অভিযোগ, “আমরা কাজ করেও টাকা পায়নি। ফলে, আমাদের দিন আর চলছে না। তাই ক্ষতিপূরণের জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছি।” জেলায় এই প্রকল্পের নোডাল অফিসার প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “কাজ করেও ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে কেউ ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতেই পারেন। আমরা ওই আবেদন তদন্ত করে উপযুক্ত জায়গায় পাঠিয়ে দেব।” জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তও জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অর্থ-সঙ্কটের কারণেই এত দিন মজুরি দেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঘাটালের বিডিও দেবব্রত রায়।
চলতি বছরে পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেও সময়ে মজুরি না মেলার অভিযোগ উঠছে। এ জন্য পর্যাপ্ত অর্থ-বরাদ্দ না-হওয়া থেকে শুরু করে প্রশাসনিক-স্তরের গয়ংগচ্ছ মনোভাবেরও ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন রাজ্য থেকেই সময়ে মজুরি না দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছেও পৌঁছচ্ছে। ২০০৫-এর ‘জাতীয় গ্রামীণ কর্মসুনিশ্চয়তা আইনে’ সিডিউল ২-এর ৩০ নং ধারায় অবশ্য প্রথম থেকেই মজুরি প্রদানে দেরির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ‘বেকার-ভাতা’র মতো ততটা সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। কাজের জন্য আবেদন করেও ১৫ দিনের মধ্যে কাজ না পেলে ‘বেকার ভাতা’র জন্য আবেদন করতে পারেন কর্মপ্রার্থী। সেই মতো এ রাজ্যেও বিভিন্ন জেলায় ‘বেকার-ভাতা’ দিতে বাধ্যও হয়েছে সরকার। সে রকমই কাজ করেও ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি না পেলে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অন্য রাজ্যে এ রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নজিরও রয়েছে। তবে, ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদনের খবর এ রাজ্যে তেমন ছিল না। |
|
|
|
|
|