|
|
|
|
পূর্বের প্রস্তাবিত প্রশাসন ভবন চত্বর পরিদর্শনে সচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নতুন জেলা গঠনের ১০ বছর পর অবশেষে পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবন তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার তমলুকের নিমতৌড়িতে প্রস্তাবিত ওই ভবন-চত্বর পরিদর্শন করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মিবর্গ দফতর ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব ইন্দিবর পাণ্ডে।
এ দিন জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, অতিরিক্ত জেলাশাসক মলয় হালদার, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক পি উলগানাথন ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাবিত প্রশাসনিক ভবন নিয়ে আলোচনা হয় সচিবের। জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী কাঁথি ১, ২, রামনগর ১, ২, খেজুরি-২ ব্লকের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থসাহায্যে প্রস্তাবিত আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা নিয়েও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক করেন সচিব। |
|
নিমতৌড়িতে ইন্দিবর পাণ্ডের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র। |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন তৈরির জন্য নিমতৌড়িতে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের সময়েই চাষিদের সম্মতিক্রমে এখানে জমি অধিগ্রহণ হয়। এরপর ওই জমি ভরাটের দায়িত্ব পায় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। বছর খানেক আগে জমি ভরাটের কাজ শেষ হয়। হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক-সংলগ্ন ওই এলাকায় জেলাশাসক, জেলা পরিষদ, জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবন-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর তৈরির পরিকল্পনা করেছে পূর্ত দফতর। ভবন তৈরির দায়িত্বে থাকছে পূর্ত দফতর ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। এই জন্য সম্প্রতি রাজ্য সরকার ৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে। প্রথম পর্যায়ে ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের জন্য দু’টি আলাদা বহুতল গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া জেলা পরিষদ অফিস, পুলিশ সুপারের অফিস ও সংখ্যালঘু বিষয়ক অফিসের ভবন আলাদা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরো চত্বর প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলার জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সচিব ইন্দিবর পাণ্ডে বলেন, “শুক্রবার স্টেট প্ল্যানিং বোর্ডের বৈঠক আছে। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। যত শীঘ্র সম্ভব কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। টাকার সমস্যা হবে না।” |
|
|
|
|
|