ব্রাজিলের সঙ্গে এ বার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে আই এফ এ।
বোতাফোগো, ফ্ল্যামিঙ্গো, ফ্লুমিনেস, ভাস্কো দা গামা—ব্রাজিলের অন্যতম সেরা চারটি ক্লাব যেখানকার লিগ খেলে, সেই রিও ডি জেনেইরোর ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ফার্জের সঙ্গেই হতে চলেছে চুক্তি। কয়েক দিনের মধ্যেই সই-সাবুদ হয়ে যাবে। তিন বছরের এই চুক্তির ফলে ব্রাজিলের নামী কোচেরা যেমন বাংলায় এসে কোচেদের প্রশিক্ষণ দেবেন, পাশাপাশি আই এফ এ-র অ্যাকাডেমির দেখভালও করবেন। বাংলার কোনও ফুটবলার পছন্দ হলে ব্রাজিলের টিমগুলিতে তাদের ট্রায়াল দিয়ে খেলানোর ব্যবস্থাও করবে ফার্জ। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “বছরে দু’বার ব্রাজিল থেকে কোচেরা আসবেন এখানে। নিয়মিত আমাদের ফুটবলাররা ওঁদের অ্যাকাডেমিগুলিতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বছরই অ্যাকাডেমির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন ওদের লোকেরা। ব্রাজিলের ক্লাবে খেলানোর ব্যবস্থাও করবেন ওঁরা। চুক্তি সেভাবেই হচ্ছে।”
হলদিয়ায় চলা আই এফ এ অ্যাকাডেমি এখন অস্থায়ী ভাবে চলছে মাকড়দহে। দু’টি গ্রুপের মোট ৩৮ জন ফুটবলার এখন রয়েছেন অ্যাকাডেমিতে। কিছু দিনের মধ্যেই সেটি পাকাপাকিভাবে চলে যাবে বারাসত স্টেডিয়ামে। আবাসিক অ্যাকাডেমির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দেশের ফুটবল সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন আই এফ এ সচিব। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের সঙ্গেই পাকা হয় চুক্তি। বাংলায় যেমন আই এফ এ, রিও ডি জেনেইরোতেও তেমনই ফার্জ। কয়েকবছর আগে এভার্টনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল আই এফ এ-র। তাতে প্রচুর খরচ করতে হয়েছিল রাজ্য সংস্থাকে। এ বার অবশ্য অনেক কম খরচ হবে। বৃহস্পতিবার যে ই মেল এসেছে তাতে প্রথম কলকাতায় আসছেন বোতাফোগোর চিফ কোচ সিডনি লওরিও। যিনি টিম নিয়ে আই এফ এ শিল্ডে গতবার খেলতে এসেছিলেন। উৎপলবাবু বললেন, “বোতাফোগোর কোচ আসার পর অন্য কোচেরাও আসবেন। কারা আসবেন চুক্তির পর বলতে পারব।” জানা গিয়েছে, কালিম্পং-এ রাজ্যের দ্বিতীয় অ্যাকাডেমির চেষ্টা চালাচ্ছে আই এফ এ। ওখানকার একটি নামী স্কুলের পরিকাঠামো ব্যবহার করা হবে। লক্ষ্য, উত্তরবঙ্গ থেকে ফুটবলার তুলে আনা। |