উইম্বলডনে উইলিয়ামস বোনেদের যুগ যে সহজে শেষ হওয়ার নয়, সেন্টার কোর্টে আজ তার নজির পেশ করলেন তিরিশ বছরের সেরেনা উইলিয়ামস। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ষষ্ঠ বাছাই সেরেনার বিধ্বংসী পাওয়ার টেনিসের সামনে দুমড়ে মুচড়ে গেলেন দ্বিতীয় বাছাই ও বিশ্বের দুই নম্বর বেলারুশের ২২ বছরে তরুণী ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। ফল সেরেনার পক্ষে ৬-৩, ৭-৬ (৮-৬)।
অন্য দিকে সেরেনার কাছে হারার পর আবার আজারেঙ্কা হারলেন। লিয়েন্ডারদের কাছে মিক্সড ডাবলসে। রাশিয়ান এলেনা ভেসনিনাকে নিয়ে লিয়েন্ডার পেজ পৌঁছলেন মিক্সড ডাবলসের শেষ আটে। আজারেঙ্কা-ম্যাক্স মির্নিকে হারালেন ৭-৬, ৬-৩। মিক্সড ডাবলসের শেষ আট থেকে অবশ্য বিদায় নিলেন রোহন বোপান্না-জি ঝেং জুটি। তাঁরা আমেরিকান জুটি মাইক ব্রায়ান-লিজা রেমন্ডের কাছে হারলেন ২-৬, ৫-৭। |
সেরেনা-রাদোয়ানস্কা: ফাইনালে মুখোমুখি |
সেরেনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেটটায় কিছুটা লড়েছিলেন এ বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী আজারেঙ্কা। কিন্তু উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন সেরেনা। এখানে চার বারের চ্যাম্পিয়ন এই নিয়ে সাত বার ফাইনালে উঠলেন। ১৩টা গ্র্যান্ড স্লাম পকেটে, শনিবার সংখ্যা ১৪ করে নেওয়ার সুযোগ সেরেনার সামনে। আরও তাৎপর্যের, ফাইনালে ওঠার পথে সেরেনার র্যাকেট থেকে বেরিয়েছে ২৪টা ‘এস’ সার্ভিস, যা মেয়েদের সিঙ্গলসে কোনও ম্যাচে সর্বকালীন রেকর্ড। এই ফর্ম অব্যাহত থাকলে শনিবার তাঁর হাতেই বিখ্যাত রুপোর থালা ওঠা উচিত। তার উফর দিদি ভেনাসকে নিয়ে সেমিফাইনালেও উঠেছেন সেরেনা।
ফাইনালে সেরেনার সামনে পোল্যান্ডের মেয়ে জীবনে প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠা আ্যাগনিয়েজকা রাদোয়ানস্কা। প্রথম সেমিফাইনালে তিনি ৬-৩, ৬-৪ হারালেন জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কের্বারকে। কিন্তু জীবনের প্রথম উইম্বলডন ফাইনালেই তাঁকে খেলতে হবে ফর্মে থাকা সেরেনার বিরুদ্ধে। রাদোয়ানস্কা বলছেন, “আর মাত্র একটা ম্যাচ। সেরেনা নিঃসন্দেহে শক্ত ঠাঁই।”
অন্য দিকে ফের ফাইনালে উঠতে পেরে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন সেরেনা। ম্যাচ জিতে উঠেই তাকালেন গ্যালারিতে বসা দিদির দিকে। সারাক্ষণ ভিআইপি গ্যালারিতে বসে বোনকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রথম রাউন্ডে ছিটকে যাওয়া পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ভেনাস। যাঁকে নিয়ে সেরেনা বলছেন, “ভেনাস প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছে। আমাকে ভাল কিছু করতেই হত। নিজের খেলায় খুশি।” এতগুলো ভয়ঙ্কর ‘এস’ মারার রহস্য? “আমি বেশ ভাল ফর্মে আছি। তা ছাড়া এখানকার কোর্টে বরাবরই আমি স্বচ্ছন্দ।”
আজারেঙ্কা এ দিন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সহজ ভুল করেছেন, সেরেনার সার্ভ আর ভলির টেনিসের সামনে মাঝে মাঝেই তাঁকে অসহায় দেখিয়েছে। স্বীকার করে নিচ্ছেন, সেরেনা তাঁর চেয়ে যোগ্য হিসেবেই জিতেছেন। “খুব ভাল টেনিস খেলছিল ও। প্রায় নিখুঁত। কোনও সন্দেহ নেই, ফাইনালে ও-ই ফেভারিট।” বরিস বেকারের মতো কেউ কেউ তো টুইটও করে ফেলেছেন যে, সেরেনার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। টেনিস পন্ডিতদের ভুল প্রমাণ করা সুযোগ এখন রাদোয়ানস্কার সামনে। |