আলোচনার মাধ্যমেই মিটতে চলেছে জলপাইগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যা। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাড়ার বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ বৈঠকের পরে স্থির হয়েছে, পুরসভা বালাপাড়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলতে পারবে। তার শর্ত হিসেবে, পুরসভাকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের এলাকাটিকে উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া, এলাকায় যাতায়াতের পাকা রাস্তা তৈরি করে দেওয়া, পথ বাতি লাগানো এবং ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে দূষণ ঠেকাতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্রকল্প তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ দিনের বৈঠকের পরে বালাপাড়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলা নিয়ে আর কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে পুরসভার এক প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “যে সব প্রস্তাব উঠে এসেছে, সবগুলিই আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আমি বাসিন্দাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করব। স্থানীয় বাসিন্দাদের কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ভুল বুঝিয়েছিলেন বলেই সমস্যা তৈরি হয়।” |
জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাড়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার স্থানীয় বাসিন্দা ও পুরকর্মীদের মধ্যে ঢিল ছোঁড়া, পুরসভার গাড়ি ভাঙচুর, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর মতো ঘটনা ঘটে। ৬ বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়। কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফে অভিযোগ করে বলা হয়, সিপিএম নেতাদের উস্কানিতেই গণ্ডগোলের ঘটনা। এ দিনের বৈঠকে ধৃত ৬ বাসিন্দার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। সদর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি দুলাল দেবনাথ ও তৃণমুল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি হারাধন সরকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করেন। দুলালবাবু বলেন, “এ দিন বাসিন্দাদের বিস্তারিত ভাবে সব বোঝানো হয়েছে. পাশাপাশি ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে যাতে এলাকায় দূষণ না ছড়ায় তার ব্যবস্থা করতেও পুরসভাকে আর্জি জানানো হয়েছে।” তৃণমুল কংগ্রেস নেতা হারাধন সরকার বলেন, “আর সংশয় বা ভুল বোঝাবুঝি হবে না বলে আশা করছি।” এ দিন সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠনের তরফে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসিকে স্মারকলিপি দিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, পুর কর্মীদের মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা মোড়ে পথ অবরোধ করে আইএনটিইউসি প্রভাবিত বাপুজি কর্মী সঙ্ঘ। বৃহস্পতিবারের অবরোধ। |