নেপালে ঢুকে পড়া হাতির পাল মহানন্দায় ফেরানোর কৌশল ঠিক করতে ১১ জুলাই দিল্লিতে বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অন্তত ৭০টি হাতি নেপালে রয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৩৫টি হাতির একটি দল নেপালের কোশি নদীর দিকে চলে যায়। অন্য দলটি বামনপোখরি এলাকায় রয়েছে। দুটি দলেই বেশ কয়েকটি জখম হাতি রয়েছে। অন্যদিকে, হাতির পালের পিছনে চোরাশিকারীরা রয়েছে বলেও খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের বনমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চান। রাজ্যের কয়েকজন বনকর্তা সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে নেপালে রাজ্যের বনকর্মীদের ঢোকার অনুমতি চান। তার পরেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “হাতির পাল মহানন্দায় ফেরাতে হলে আমাদের অফিসারদের সেখানে যাওয়া প্রয়োজন। দিল্লির অনুমতি ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। নেপালের অনুমতিও দরকার। সেই জন্যই অফিসারদের দিল্লিতে পাঠিয়ে ওই বৈঠকের ব্যবস্থা হয়েছে। আশা করছি, নেপালে ঢুকে পড়া প্রতিটি হাতিকে সুস্থ ভাবেই মহানন্দায় ফেরানো সম্ভব হবে।” মাস দুয়েক ধরে প্রায় দেড়শো বুনো হাতির পাল নকশালবাড়ি লাগোয়া কলাবাড়ির জঙ্গলে আশ্রয় প্রতিদিনই নেপালের বামনডাঙি এলাকায় ভুট্টা খেতে হানা দিচ্ছিল। গত ২৮ মে অন্তত ৩৫টি বুনো হাতির পাল নেপালে ঢোকার পরে দাঁড়িয়ে পড়ে। খোঁজ নিতে গিয়ে বনকর্মীরা জানতে পারেন দলটিকে নেপালের ভিতরে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে রাজ্যের বনকর্মী মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়। তার মধ্যে গত ২ জুন ফের আরও একটি দল নেপালে ঢুকে পড়ে। অন্য একটি দল কলাবাড়ি থেকে বামনপোখরিতে ফিরে যায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বামনপোখরি এলাকা থেকে বুনো হাতির দলটি বেঙডুবিতে ফিরে এসেছে। সেখানে সামরিক ছাউনি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। এই দলটি যাতে ফের নেপালে ঢুকে না-পড়ে সেই জন্য নজরদারিতে নেমেছে সুকনা এলিফ্যান্ট স্কোয়াড এবং কার্শিয়াং বন বিভাগ।
|
অবৈধ ভাবে গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক কংগ্রেস নেতাকে। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাটের পশ্চিম দন্ডিরহাটের বাড়ি থেকে পুলিশ মজনুর রহমান ওরফে বাবলু মণ্ডল নামে ওই নেতাকে ধরে। কয়েক মাস আগে স্থানীয় মানুষ অভিযোগ তুলেছিলেন, টাকি রাস্তার ধারে বেশ কিছু শিরিষ, ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাবলুর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ দায়ের হয়। বন দফতর ও পূর্ত দফতর (সড়ক) তদন্ত শুরু করে। বাবলুর খোঁজ চলছিল ক’দিন ধরেই। অবশেষে, বৃহস্পতিবার সকালে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করে বাবলু বলেন, “টাকি রাস্তার ধারে একটা গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়েছিল। গাড়ি চলাচলের সুবিধার কথা ভেবে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই গাছটি কেটে বিক্রি করে গ্রামের গরিববদের মধ্যে সেই টাকা বিলিয়ে দেওয়া হয়। অথচ, কয়েক জন মানুষ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছেন।” এ দিকে, যাঁরা ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, ক’দিন আগে তাঁদের উপরে আক্রমণ হয় বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনায় জখম হন ৩ জন। তাঁদের ভর্তি করা হয় বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
|
কাঁসাই নদীর ভাঙন রোধে মেদিনীপুরের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল ভারতীয় জনতা যুব-মোর্চা। বৃহস্পতিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয় যে, কাঁসাই নদীর পাড় দ্রুত ভাঙছে। গাঁধীঘাট, বাবাজিঘাট, গণপতিনগর এলাকা ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত, অবৈধ ভাবে বালি তোলার কারণেই বেশি করে পাড় ভাঙছে বলে অভিযোগ। ফলে বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেই নদী থেকে জল বেরিয়ে চলে আসে। পালবাড়ি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মেদিনীপুর পুরসভার ১৫, ১৬ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ধরে ভাঙন চললেও ভাঙন-রোধে স্থানীয় কাউন্সিলরদের কোনও উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি বলেও অভিযোগ। এমনকী সেচ দফতরও উদাসীন বলে অভিযোগ। তাই মহকুমাশাসকের কাছে তাঁদের দাবি, এ বিষয়ে প্রশাসন যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়। এ দিনের স্মারকলিপি-প্রদানে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি শুভজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক অরূপ দাস। তাঁদের দাবি, “প্রশাসন এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।”
|
বুধবার রাতে চোরাশিকারিদের হাতে এক গন্ডার মারা গেল পবিতরায়। রেঞ্জার সেলিম আহমেদ জানান, অভয়ারণ্যের বানভাসি-পাগলাডোবা এলাকায় শিকারিরা ওৎ পেতে ছিল। রাতে একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ গন্ডারকে গুলি করে হত্যা করে তারা। খড়্গটিও কেটে নেওয়া হয়। আহমেদ বলেন, বন্যার জন্য উদ্যানের সর্বত্র টহলদারি হচ্ছে না। গন্ডাররাও উঁচু ডাঙার খোঁজে জনবসতি এলাকার আশপাশে ঘুরছে। পবিতরা সংলগ্ন গ্রামের চারণভূমিতে গৃহপালিতদের সঙ্গে ঘুরছে গন্ডাররা। শিকারিরা সেই সুযোগটাই নিয়েছে। |
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক মহিলার। মৃতের নাম দীপালি পাল (৪০)। বাড়ি রামপুরহাটের নাইসোড় গ্রামে। বুধবার রান্নাঘরে কাজ করার সময় সাপ তাঁকে ছোবল মারে। |
পর পর দু’টি গ্রামে একটি বুনো হাতির হানায় ভাঙল পড়ল বাড়ি। বুধবার রাতে ঘটনা দু’টি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার চাঁচর ও বৃন্দাসোল গ্রামে। |