রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে কর্নাটকে সঙ্কট এড়াতে মুখ্যমন্ত্রী বদলের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বি এস ইয়েদুরাপ্পার দাবি মেনে সদানন্দ গৌড়াকে সরাতে রাজি হয়েছে দল। বেঙ্গালুরুর মসনদে বসবেন ইয়েদুরাপ্পার পছন্দের লিঙ্গায়েত নেতা জগদীশ সেট্টার।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ইয়েদুরাপ্পাকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয়, তখন তিনিই তাঁর পছন্দের সদানন্দ গৌড়াকে সে পদে বসিয়েছিলেন। কিন্তু গদিতে বসার পর থেকেই গৌড়ার সঙ্গে তাঁর মত পার্থক্য প্রকট হতে থাকে। ইয়েদুরাপ্পা অনেকবারই দলীয় নেতৃত্বের উপরে চাপ বাড়িয়ে বিদ্রোহ করেছেন। কিন্তু দল তাঁকে নিরস্ত করেছে। দলীয় নেতৃত্ব এখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক তখনই অনুগামী ন’জন মন্ত্রীকে ইস্তফা দিইয়ে ফের চাপ বাড়ান ইয়েদুরাপ্পা। ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। ফলে এখনই ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন। তাই তিনি এগিয়ে দিয়েছেন সেট্টারকে।
বারবার ইয়েদুরাপ্পার এই চাপের রাজনীতি যে বিজেপি নেতৃত্ব ভালো চোখে দেখছেন, তা নয়। কিন্তু লিঙ্গায়েত ভোটের অঙ্ক আর ইয়েদুরাপ্পার জনপ্রিয়তার চাপে নতি স্বীকার করেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী বদলের জন্য ইয়েদুরাপ্পা আজ পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। কর্নাটকে ১৬ জুলাই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আজ তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হবে।
বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কার আর একটি কারণও রয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র দুই পুরনো শরিক জেডি (ইউ) ও শিবসেনা অন্য পথে হেঁটেছে। ইয়েদুরাপ্পা নিজেও প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থনের কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন। ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ইয়েদুরাপ্পার দাবি যদি মানা না হয়, তাহলে এনডিএ-তে চিড় ধরার পাশাপাশি বিজেপিকেও ঐক্যবদ্ধ রাখা যাবে না। তাই আপাতত ইয়েদুরাপ্পাকে শান্ত রাখার কৌশলই নিচ্ছে দল। অবশ্য চুপ করে বসে নেই সদানন্দ গৌড়াও। তাঁর বক্তব্য, কর্নাটকে তড়িঘড়ি করে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে দল বিপদে পড়বে।
এক শীর্ষ বিজেপি নেতার কথায়, “সদানন্দ গৌড়াকেও জানানো হয়েছে তাঁকে সরে যেতে হবে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আর এক বছরের মাথায়। ফলে বদলের উপযুক্ত সময় এটাই।” |