|
|
|
|
আর্থিক অনিশ্চয়তায় চাকরি বদলের
হার কমল ভারতে, দাবি সমীক্ষায় |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আর্থিক অনিশ্চয়তার জেরে চাকরি বাড়ন্ত। ফলে চলতি ধারার উল্টো পথে হেঁটে অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) চাকরির বদলের হার কমে গেল ভারতে। নিয়োগ সংক্রান্ত পোর্টাল মাইহায়ারিংক্লাব ডট কম-এর একটি সমীক্ষা জানিয়েছে, এই হার আগের তিন মাসের তুলনায় ৫% কমে ১৭% হয়েছে ওই সময়ে।
বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা বলছে, এ দেশে চাকরি পরিবর্তনের জন্য সংস্থা ছাড়ার হার সব থেকে বেশি থাকে প্রত্যেক অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে। তবে এ বার যে ছবিটা উল্টে গিয়েছে, তার জন্য মূলত গোটা বিশ্ব-সহ দেশ জুড়ে তৈরি হওয়া আর্থিক অনিশ্চয়তাই দায়ী বলে মনে করছে এই সমীক্ষা। পোর্টালটির সিইও রাজেশ কুমারের দাবি, আর্থিক পরিস্থিতি কিছুটা টালমাটাল হওয়ায় এক দিকে সংস্থা বদলের ব্যাপারে এই মুহূর্তে খুব সাবধানী পেশাদারেরা। অন্য দিকে, চলতি মন্দার আবহে যথেষ্ট সতর্ক সংস্থাগুলিও। আপাতত তারাও কর্মী নিয়োগের পথে খুব একটা বেশি হাঁটতে চাইছে না। ফলে বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ চাকরির অভাবও সংস্থা বদলের উৎসাহে জল ঢালার অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।
সমীক্ষা জানিয়েছে, কম-বেশি এই প্রবণতা ধরা পড়েছে সবক’টি শিল্প ক্ষেত্রেই। ১১টি শিল্প নিয়ে করা সমীক্ষার ফলাফলে জানা গিয়েছে, বিমান পরিবহণ ও হসপিটালিটি ক্ষেত্রে চাকরি বদলের হার সর্বোচ্চ। আর সর্বনিম্ন গাড়ি ও উৎপাদন শিল্পে। তবে ওই চারটি-সহ তথ্যপ্রযুক্তি ও তা নির্ভর শিল্প, ব্যাঙ্কিং, আর্থিক পরিষেবা, ভোগ্যপণ্য, জমি-বাড়ি-সম্পত্তি, টেলিকম এই সবক’টিতেই মোটের উপর কর্মীদের চাকরি বদলের হার গত ২০১১-’১২ অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসের তুলনায় বেশ কিছুটা করে কমেছে।
মানব সম্পদ উপদেষ্টা সংস্থাগুলির ধারণা, সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতির যা পরিস্থিতি, তাতে এই ঝোঁক বজায় থাকতে পারে আগামী ত্রৈমাসিকেও। এসএমএমসি রিক্রুটমেন্ট সার্ভিসেস-এর মঞ্জুনাথ প্রসাদ-এর মতে, “সংস্থাগুলিতে কর্মীদের থেকে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সময়টাকে ভালই বলা চলে। বেসামাল আর্থিক পরিস্থিতির কারণে এই চাকরি না-বদলানোর ঝোঁক তৈরি হলেও, এক অর্থে বিষয়টি যে কোনও সংস্থার কাছে কিছুটা স্বস্তিদায়ক তো বটেই। তবে চাকরি বদলের সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়াও এখন মন্থর হয়ে গিয়েছে।” বিশেষত, তথ্যপ্রযুক্তি ও তা নির্ভর শিল্প, ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবার ক্ষেত্রে তা খুবই কম। |
|
|
|
|
|