|
|
|
|
প্রস্তাব অ্যাসোচ্যামের |
কর ফাঁকি প্রতিরোধ আইন হিমঘরে পাঠানোর দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রণব মুখোপাধ্যায় অর্থ মন্ত্রক ছাড়ার পর এ বার কর ফাঁকি প্রতিরোধ আইন (জিএএআর) পুরোদস্তুর হিমঘরে পাঠানোর দাবি তুলল শিল্পমহল।
বৃহস্পতিবার যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ার কাছে এই দাবি তোলে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। এ প্রসঙ্গে বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট রাজকুমার ধুতের দাবি, “অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অবিলম্বে এই আইনকে হিমঘরে পাঠানো উচিত। কারণ, ইতিমধ্যেই এ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে লগ্নিকারীদের মধ্যে।”
গত কেন্দ্রীয় বাজেটেই এই কর ফাঁকি প্রতিরোধ আইন সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু এতে ভোডাফোন-হাচিসনের মতো পুরনো চুক্তির উপরে কর বসার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় গোড়া থেকেই এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছিল শিল্পমহল। পরে অবশ্য আইন রূপায়ণের বিষয়টি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে তা চালু হওয়ার কথা। কিন্তু এখন প্রণববাবু নর্থ ব্লক ছাড়ার পর তা বাতিল করার দাবি তুলছে শিল্পমহল। প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পরই মন্টেক জানিয়েছিলেন যে, এই আইন নিয়ে অনিশ্চয়তা দ্রুত দূর করবে কেন্দ্র।
শিল্পমহলের সঙ্গে কথা বলে তাদের আস্থা পুনরুদ্ধারের ভার মন্টেককেই দিয়েছেন মনমোহন সিংহ। সেই অনুযায়ীই একের পর এক শিল্পপতির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি। সম্প্রতি আলোচনা সেরেছেন মুকেশ এবং অনিল অম্বানীর সঙ্গে। এ দিন মন্টেকের সঙ্গে বৈঠকের পর ধুত জানান, কর ফাঁকি প্রতিরোধ আইনের পাশাপাশি সুদের চড়া হার নিয়ে অস্বস্তি, পণ্য পরিষেবা কর দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়েও মতামত জানিয়েছেন তাঁরা। আবেদন জানিয়েছেন দিল্লি-মুম্বই ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল করিডরের মতো পরিকাঠামো প্রকল্পে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্যও।
মন্টেকের উপর যেমন শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব বর্তেছে, তেমনই অর্থ মন্ত্রকের রুটিন কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্ব প্রতিমন্ত্রী নমোনারায়ণ মীনার হাতে তুলে দিয়েছেন মনমোহন। সংসদে প্রশ্নোত্তরের জবাবও দেবেন তিনিই। দিতে পারবেন পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের অনুমোদন। তবে মন্ত্রিসভার কাছে যে কোনও প্রস্তাব পাঠানোর আগে প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত লাগবে। |
|
|
|
|
|