যৌনপল্লিতে গিয়ে দিঘির জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার রাতে কালনা শহরের কদমতলা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বাপি বিশ্বাস (২৬)। বাড়ি নদীয়ার শান্তিপুরের সারদাপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন রাত ৮টা নাগাদ কদমতলা এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। ভয় পেয়ে দিঘিতে ঝাঁপ দেয় বাপি। পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে কাজ করত বাপি। মাস দুয়েক আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসে সে। বৃহস্পতিবার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে চেন্নাই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। বুধবার বিকেলে এক বন্ধুর সঙ্গে বেরোয় সে। সন্ধ্যায় কালনার ওই যৌনপল্লিতে পৌঁছয় তারা। পুলিশের দাবি, অভিযানের কথা শুনেই বাপি ভয় পেয়ে একটি ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে কাছাকাছি একটি দিঘিতে ঝাঁপ দেয়। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “সমাজ-বিরোধীরা ওই সব এলাকায় আশ্রয় নেয়। তাদের খোঁজে প্রায়ই রুটিন তল্লাশি চালানো হয়। বুধবার রাতে এরকমই একটি তল্লাশি চলছিল। সম্ভবত, শান্তিপুরের ওই যুবক ভয় পেয়েই দিঘিতে ঝাঁপ দিয়েছে।” মৃতের পরিবার অবশ্য পুলিশের দাবি মানতে চাননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃতের ভাই লাল্টু বিশ্বাস কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, আগের দিন রাতে পুলিশ তাড়া করাতেই দিঘিতে ঝাঁপ দিয়েছে বাপি। তাঁর আরও দাবি, মৃতদেহ তল্লাশিতেও পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি। পুলিশ জানায়, ঘটনাটির তদন্ত হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা বাপিকে দিঘিতে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন। কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও জল থেকে সে না ওঠায় সন্দেহ হয় তাঁদের। এলাকাতেও বিষয়টি জানাজানি হয়। রাত ১০টা নাগাদ স্থানীয় কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরীর নেতৃত্বে তিনটি নৌকা নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে দেহটির ময়না-তদন্ত করা হয়। |