টুকরো খবর |
তৃণমূলকর্মীকে বেঁধে মারধর
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা রোড |
‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় অন্যের বাড়িতে ঢোকার অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মীকে মন্দিরের আটচালায় বেঁধে বেধড়ক মারধর করলেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। রবিবার রাতে চন্দ্রকোনা রোডের দুর্লভগঞ্জে ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ভোরে খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা অশোক মুখোপাধ্যায় নামে ওই তৃণমূলকর্মীকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা রোড ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, অশোকবাবু চন্দ্রকোনা রোডের সারদাময়ী বিদ্যালয়ের পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অশোকবাবুকে পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্লভগঞ্জ পশ্চিম বুথ কমিটির সদস্য পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে।” অশোকবাবু কোনও মন্তব্য করেননি। তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। স্থানীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে।”
|
দাবি ক্যাম্প স্থানান্তরের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
যৌথ বাহিনীর ক্যাম্প স্থানান্তরের দাবি জানালেন শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত। সোমবার দুপুরে মেদিনীপুরে এসে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, “গোয়ালতোড়ের কেওয়াকোলে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। ওই ক্যাম্প স্থানান্তর প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, কেওয়াকোলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনে গত তিন বছর ধরেই সিআরপিএফের ৬৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদর দফতর রয়েছে। ২০০৯ সালে জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় এখানে এই দফতরটি হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনে ক্যাম্পটি থাকায় ওই ভবনটিও চালু করা যায়নি। এ নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ক্যাম্পটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে নতুন ভবনটি চালু করা সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। বিধায়কের বক্তব্য খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
|
বধূ হত্যায় ধৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
বধূকে খুনের অভিযোগে জা এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত জা ফিরোজা বিবি এবং শাশুড়ি জাহানারা বিবিকে সোমবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। রবিবার দুপুরে চন্দ্রকোনা শহর সংলগ্ন ডালিমাবাড়িতে বুল্টি বিবির (২১) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতার বাপের বাড়ি ও পড়শিদের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুনের পরেই তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবারই মৃতার দাদু শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগান বাপের বাড়ির লোকেরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
|
চাষজমিতে দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চাষের জমি থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে সোমবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় বেলদার আস্তি গ্রামে। মৃত হরিপদ পন্ডিতের (৫৬) বাড়ি ওই গ্রামেই। রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান হরিপদ। রাতে আর ফেরেননি। এদিন সকাল থেকে পরিবারের লোকজন খোঁজখুজি শুরু করেন। পরে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে এক চাষের জমি থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের একাংশের অভিযোগ, এটি খুন। তবে পুলিশের অনুমান, বিষ খেয়েই আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। |
|