গা-জ্বালা হাওয়া, গুমোট গরম
পুড়ছে দক্ষিণ দিনাজপুর। সকালে আকাশ কালো হয়ে এলেও বৃষ্টির দেখা নেই। বেলা বাড়তেই মেঘ উবে গিয়ে উঠছে প্রখর রোদ। চড়া তাপের সঙ্গে গরম হাওয়ার জেরে এক গা জ্বালা করা পরস্থিতিতে বাসিন্দারা রীতিমত নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। মেঘলা গুমোট পরিবেশে অস্বস্তি আরও বেড়ে চলেছে। মাঠ ঘাট শুকিয়ে গিয়েছে। পাট ও সবজির খেতের জমি ফাটছে। ঝলসে যাচ্ছে ফসল। জেলা কৃষি উপ অধিকর্তা লক্ষীরাম মান্ডি জানান, “উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভাল বৃষ্টি হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বর্ষণের দেখা নেই। জলের অভাবে পাটের চাষ ব্যহত হয়ে পড়েছে। মার খাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ।”
বালুরঘাটে চড়ছে পারদ। ছবি: অমিত মোহান্ত
একটানা তীব্র দাবদাবের জেরে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গরমের কারণে নানা উপসর্গ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিএসএফ জওয়ান। গত ১৫ দিনের মধ্যে জেলায় গরমে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বহু মানুষ। বালুরঘাট হাসপাতাল সূত্রের খবর, গরমজনিত কারণে সর্দিগর্মি থেকে শ্বাসকষ্ট, পেটের অসুখ নিয়ে রোজ হাসপাতালে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ ভর্তি হচ্ছেন। বালুরঘাটে তাপমাত্রা গত কয়েকদিন যাবত ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তীব্র গরমের মধ্যে হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। জেলা কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রচন্ড ঘাম হয়ে দ্রুত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গত দুদিন ধরে বালুরঘাটে দুপুর ও রাতে লোডশেডিংয়ের ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। জেলা বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় ভাবে লোডশেডিং করে সমস্যা মোকাবিলা করা হচ্ছে। এর ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালের রোগীরা। জেনারেটরের মাধ্যমে সমস্ত ওয়ার্ডে সব পাখা চালানোর মতো ব্যবস্থা হাসপাতালে নেই। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি জেনারেটর ভাড়া করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.