স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএড পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন এবিটিএ। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এবিটিএ’র দার্জিলিং জেলা কমিটির তরফে অভিযোগ করা হয়। তাদের অভিযোগ, স্বাধীনতার আগে থেকেই বিএড পড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সুযোগ দেওয়া হয়। ১০ মাস সবেতনে তাঁরা ওই প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। অথচ এ বছর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বিএড কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ২০১২ সালে ওই শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই প্রশিক্ষণ না থাকলে তাঁরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশিকা অনুসারেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। সমস্যা মেটাতে দূরশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএড প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএড প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবিতে এ দিন উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি। অন্য দিকে দূরশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএড প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল শিক্ষা সেল। তাদের অভিযোগ, দূরশিক্ষা যে সব কেন্দ্রের মাধ্যমে হয়ে থাকে সেখানে ইংরেজি বা হিন্দি ভাষায় পড়াশোনা করতে হয়। আসনও সীমিত। তৃণমূল শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক কৃষ্ণা পাল বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেরই বিএড প্রশিক্ষণ নেই। তাতে বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়বেন। সে কারণে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” এবিটিএ’র দার্জিলিং জেলা কমিটির সহসভাপতি তমাল চন্দ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মুক্ত এবং দূরশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেননি। উল্টে বিএড কলেজগুলিতে শিক্ষকদের ভর্তির জন্য ফর্ম দিচ্ছেন না। তাতে শিক্ষকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। আজ, বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযের্র সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানাবেন তমালবাবুরা। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির দার্জিলিং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, “বিএড কলেজগুলিতে অথবা দূরশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।” |