হোটেল কর্মী সেজে ঘরে ঢুকে মণিপুরি জঙ্গি সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম কেশো মেইতেই ওরফে নরোন প্রিয় কুমার। তিনি কাংলেইপাক কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার বাড়ি মণিপুরে। তিনি সংগঠনের ‘কমান্ডার ইন চিফ’ পদে রয়েছেন। তার কাছ থেকে ৯টি মোবাইল সিম কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ভোটার কার্ড সহ বেশ কয়েকটি নকল পরিচয় পত্র, বেশ কিছু ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির একটি মামলায় ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরে ফেরার ছিল। এদিন ওই হোটেলে ওই জঙ্গি উঠেছেন জানতে পেরে অভিযান চালানো হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” কী কারণে ওই জঙ্গি শিলিগুড়ির হোটেলে উঠেছিল তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতের মাধ্যমে ধৃতকে এনআইএ’র হাতে তুলে দেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার শিলিগুড়িতে আসেন কেশো। এদিন তিনি ভুয়ো নাম নিয়ে হিলকার্ট রোডের ওই হোটেলে ঘর ভাড়া নেন। এনআইএ মারফৎ পুলিশের কাছে ওই খবর পৌঁছয়। এর পরেই শিলিগুড়ি থানার আইসি পিনাকী মজুমদারের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল হোটোলে হানা দেয়। হোটোলের বাইরে বেশ কিছু পুলিশ কর্মী রাখা হয়। আইসি ১৫ জন পুলিশ কর্মীকে নিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢোকেন। তিনি পুলিশের জামাকাপড় ছেড়ে হোটেলের কর্মী সেজে ধৃতের ঘরে ঢুকে যান। তাঁর পিছনে পুলিশের পুরো দলটি ঘরের ভিতরে ঢুকে ওই জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে। তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের দলটি ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে চালিয়ে সিম কার্ড সহ বিভিন্ন জিনিস আটক করে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা গত দুই বছর ধরে শিলিগুড়িতে যাতায়াত করছেন। এর আগে মাটিগাড়া থানার পুলিশ ৩ জন এনআইএ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। তারা শিলিগুড়িতে জমি কিনে ব্যবসায় নামার ছক কষেছিলেন। পরে নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি থেকেও ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর আরও ২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই জঙ্গি সংগঠনের আরও কেউ শিলিগুড়িতে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |