এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কল সেন্টার চালু করা, বিদ্যুতের বিল সময়মতো পাঠানো-সহ কয়েক দফা দাবিতে সোমবার হাবরায় ওই সংস্থার ডিভিশনাল অফিসে স্মারকলিপি দিল ‘সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি’ এবং মছলন্দপুর নাগরিক কমিটি। কমিটির বক্তব্য, মছলন্দপুরের কল সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রাহকদের গোবরডাঙায় গিয়ে বিদ্যুতের বিল জমা দিতে হচ্ছে। ফলে, অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। কমিটির তরফে অরবিন্দু মজুমদার বলেন, “বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার টোল-ফ্রি নম্বরে টেলিফোন করলেও কেউ তা ধরেন না। পোস্ট-অফিস এবং তথ্যমিত্র কেন্দ্রে আগে বিল জমা দেওয়া যেত। এখন সব বন্ধ।” বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার হাবরা ডিভিশনাল অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
|
কদম গাছের ডাল থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাবরার হাটথুবা এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মঙ্গল মাহাতো (৩২)। তিনি আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। হাটথুবার একটি খাটালে কাজ করতেন ওই যুবক। সেখানেই থাকতেন। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
এক যুবককে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার মাধবপুর গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম প্রশান্ত সর্দার (২২)। তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে মামা নলিনী সর্দারের সঙ্গে প্রশান্ত নৈশ ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল। কিছুটা দূরে যাওয়ার পর কয়েক জন দুষ্কৃতী প্রশান্তকে ঘিরে ধরে চপার দিয়ে কোপায়। ঘটনাস্থলেই প্রশান্তের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে নলিনীবাবু পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি খুনের ঘটনায় জড়িত কিনা এবং কী কারণে ওই যুবককে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
মেছোভেড়িতে রাত-পাহারা দেওয়ার সময়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন এক ব্যক্তি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকার মউখালিতে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম ওই ব্যক্তির নাম মন্টু দাস। বাড়ি মউখালি গ্রামে। তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে। কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে মেছোভেড়িতে রাত-পাহারা দিচ্ছিলেন মন্টু। সেই সময়ে এক দল দুষ্কৃতী মাছ চুরি করতে আসে। মন্টু বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায়। মন্টুকে দলীয় সমর্থক বলে দাবি করেছেন ক্যানিং-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা। এ ব্যাপারে তিনি থানাতেও অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
মোটর বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার আটুরিয়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ২টো নাগাদ বাজার থেকে সাইকেলে করে স্বরূপনগর-বসিরহাট রোড ধরে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার ফণীভূষণ মজুমদার (৭৮)। দ্রুত গতিতে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটর বাইক ধাক্কা মারে তাঁকে। মাথায় আঘাত পান ওই বৃদ্ধ।
|
সোমবার, ব্যারাকপুরে গঙ্গার মঙ্গল পাণ্ডে ঘাটে স্নান করতে নেমে ডুবে মৃত্যু হল দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রের। মৃতদের নাম চয়ন বিশ্বাস (১৭) ও অঙ্কন সিংহ (১৭)। তাঁরা ব্যারাকপুর আর্মি স্কুলে পড়তেন। পুলিশ জানায়, এ দিন ক্লাসের পরে বন্ধুদের সঙ্গে তাঁরা গঙ্গায় স্নান করতে যান। চয়ন ও অঙ্কন সাঁতার জানতেন না। পুলিশের অনুমান, পা পিছলে তলিয়ে যান চয়ন ও অঙ্কন। বিকেলে ঘাটের কাছ থেকেই তাঁদের দেহ পাওয়া যায়।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
হুগলির উদ্যানপালন দফতর জেলার ৩৬ জন চাষিকে চাষের কাজে সুবিধার জন্য পাওয়ার টিলার দেওয়াতে উদ্যোগী হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে চিহ্নিত করে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস বলেন,“আমরা চাইছি এক সঙ্গে অনেক চাষিকে এই প্রকল্পের আওয়াত আনতে। চাষিদের মধ্যে ক্লাব করে এই প্রকল্পের সুবিধা বহু চাষির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইছি। ইতিমধ্যেই হুগলি, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনায় চাষিরা পাওয়ার টিলার পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে রাজ্যে অন্তত ৭০০টি পাওয়ার টিলা দেওয়া আমাদের লক্ষ।” কেন্দ্রীয় সরকারের হর্টিকালচার মিশনের উদ্যোগে চাষিদের পাওয়ার টিলার প্রদানে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ওই প্রকল্পে ৮৫ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে। ১৫ শতাংশ টাকা টাকা দেবে রাজ্য। চাষিরা ওই প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৬০ হাজার টাকা ভতুর্কি পাচ্ছেন। একটি পাওয়ার টিলারের দাম ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। তার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা চাষিদের দিতে হচ্ছে না। বাকি টাকা ব্যাঙ্ক অথবা ডিলারের মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে চাষিরা পরিশোধ করবেন। জেলার উদ্যানপালন দফতরের অধিকর্তা দীপক ঘোষ বলেন, “পর্যায়ক্রমে জেলার মোট ১১৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিকে পাওয়ার টিলার দেওয়া হবে।” |