|
|
|
|
চোখে গুড়োঁ লঙ্কা ছিটিয়ে পালানোর চেষ্টা বন্দিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে পালানোর চেষ্টা করল বন্দিরা। যদিও শেষমেশ সকলেই ধরা পড়ে গিয়েছে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের বেঁকি গলতলার মোড়ের কাছে টাকি রাস্তায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে পুলিশের গাড়িতে ১৯ জন বন্দিকে নিয়ে আসা হয়েছিল বসিরহাট আদালতে। একজন জামিন পেয়ে যান। বাকি ১৮ জন বিচারাধীন বন্দিকে নিয়ে ফিরছিল গাড়িটি। সে সময় ফিরোজ আহমেদ নামে এক বন্দি হঠাৎই পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। গাড়ির মধ্যে থাকা চার পুলিশ কর্মী এমনকী, চালকের চোখেও লাগে সেই গুঁড়ো। গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিতে বাধ্য হন চালক। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি দাঁড়াতেই বন্দিরা গাড়ির জানলা ভাঙতে শুরু করে।
এ দিকে রাস্তার উপরে পুলিশের গাড়িটি আচমকা দাঁড়াতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। গাড়িতে থাকা এক মহিলা বন্দির সঙ্গে ছিল একটি ছোট ছেলে। গাড়ির মধ্যে হুটোপাটি ও দরজা-জানলা ভাঙার শব্দে সে কাঁদতে শুরু করে। এলাকার লোকজন বুঝতে পারেন, বন্দিরা গাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। এক জন গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিল। তাকে ধরে ফেলেন আশপাশের মানুষজন। গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে গাড়িটিকে। তত ক্ষণে লঙ্কাগুঁড়োর জ্বালা কাটিয়ে দু’জন পুলিশ বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকি দেন বন্দিদের। বেগতিক দেখে আর পালাতে সাহস করেনি কেউ।
গ্রামবাসীরা ঘটনাটি বসিরহাট থানায় জানান। আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বন্দিদের সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গা থানায়। সেখানে গাড়ি বদলে সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় দমদম সেন্ট্রাল জেলে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক জন বাংলাদেশি বন্দির সঙ্গে বসে পালানোর থক কষেছিল বাদুড়িয়ার শ্রীকাটি গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ। ডাকাতি ও মাদক পাচারের অভিযোগে তাকে বসিরহাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। কোনও এক মহিলা লঙ্কার গুঁড়োর প্যাকেট পৌঁছে দেয় ফিরোজের কাছে। |
|
|
|
|
|