|
|
|
|
বিএসএফের গুলিতে মৃত যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • স্বরূপনগর |
বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল সন্দেহভাজন এক গরু পাচারকারীর। জখম হয়েছে আরও তিন জন। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরের আরশিকারি সীমান্তে। বিএসএফের দাবি, গরু পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল এক দল দুষ্কৃতী। বাধা দিলে তারা জওয়ানদের উপরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ‘বাধ্য হয়ে’ গুলি চালান জওয়ানেরা। মারা যান জিয়ারুল সর্দার (২১) নামে এক যুবক। যদিও বিথারির পদ্মবিলার বাসিন্দা ওই যুবক গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত নন বলে তাঁর পরিবারের লোকের দাবি।
পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্কের নিরিখে সীমান্তবর্তী এলাকায় গুলি চালনার ব্যাপারে বিএসএফের উপরে নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বন্দুক ছেড়ে জওয়ানদের বেশির ভাগেরই হাতে হাতে এখন লাঠি, বাঁশের চটা দিয়ে তৈরি ‘ঢাল।’ যদিও অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে গরু পাচারের হার বেড়েছে। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা ফসল নষ্টের অভিযোগ তুলছেন। গত ২৪ জানুয়ারি রাতে পাচারকারীদের বাধা দেওয়ায় স্বরূপনগরের হাকিমপুরে জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় তারা। একটি চেকপোস্ট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। কৈজুড়িতেও জওয়ানেরা আক্রান্ত হন পাচারকারীদের হাতে।
১৫২ নম্বর ব্যাটালিয়নের এক জওয়ানের মৃত্যুও হয় যার জেরে। গাবর্ডা সীমান্তেও আক্রান্ত হন বিএসএফ জওয়ানেরা।
স্বরূপনগর সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে সোনাই নদী। জায়গায় জায়গায় তা খুবই অপরিসর। জলও কম। হেঁটে পারাপার খুবই সহজ। ফলে এই এলাকা পাচারকারীদের কাছে ‘স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে। রবিবার রাত ৩টে নাগাদ পাহারার সময়ে জওয়ানদের চোখে পড়ে, কয়েকশো গরু সীমান্তের ও পাড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পাচারকারীরা। বাধা দিলে জওয়ানদের উপরেও দা-বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় তারা। গুলি চালান জওয়ানেরা। জখম তিন জনকে টেনে ও পাড়ে নিয়ে চলে যায় পাচারকারীরা। উদ্ধার হয় জিয়ারুল সর্দারের দেহ। সেটি পরে উদ্ধার করে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|