|
|
|
|
রায়দিঘি থেকে ধৃত তিন দুষ্কৃতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নানা সময়ে গাড়ি ব্যবসায়ীদের গাড়ি কেনার টোপ দিয়ে ডেকে নিয়ে এসে টাকা, মোবাইল ফোন-সহ সর্বস্ব ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন জনকে রবিবার রাতে রায়দিঘি থানা এলাকা থেকে ধরেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সঞ্জিৎ পুরকাইত, হরিদাস বৈরাগী এবং দিলীপ পুরকাইত। সকলেই রায়দিঘি থানা এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, বছর উনিশের সঞ্জিত ওই চক্রের পাণ্ডা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসে ঠাকুরপুকুর এলাকার গাড়ি ব্যবসায়ী স্বপন মণ্ডলের কাছ থেকে তিনটি পে-লোডার কেনার প্রস্তাব দিয়ে বিষ্ণুপুর এলাকায় ডেকে পাঠায় সঞ্জিত। নিজের পরিচয় দেয় রাজেশ মেহেরা নামে। তারপর স্বপনবাবুকে বিষ্ণুপুর থেকে রায়দিঘি নিয়ে গিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে চম্পট দেয় সঞ্জিত ও তার দলবল। চলতি মাসের ২ তারিখে শান্তনু চক্রবর্তী নামে উত্তর কলকাতার আর এক গাড়ি ব্যবসায়ীকে বিষ্ণুপুরে আসতে বলে। তারপর ওই ব্যবসায়ীকে রায়দিঘি নিয়ে যায়। মোবাইল ফোন এবং আড়াই হাজার টাকা লুঠ করে। তারপর ওই ব্যবসায়ীকে একটি গর্তে লুকিয়ে রেখে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে তাঁর বাড়িতে ফোন করে। শেষমেশ এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে শান্তনুবাবুকে ছাড়া হয়। রায়দিঘি থানায় দু’টি ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়। এর পরে রায়দিঘিরই এক ব্যক্তির সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদ বাধে সঞ্জিতের। সেই বিবাদকে পুঁজি করে ফাঁদ পাতেন তদন্তকারী অফিসাররা। ওই ব্যক্তিকে ফোন করে সঞ্জিতকে ডাকতে বলা হয়। রবিবার রাতে ওই ব্যক্তির কাছে আসতেই সঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, সঞ্জিত সব সময়ে কেতা-দুরস্ত থাকত। অনর্গল ইংরেজি বলতে পারলেও তার পড়াশোনা ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় সে কাজ করেছে। কম্পিউটার বিষয়ে পারদর্শী। বছর দুয়েক হল বেসরকারি সংস্থার কাজ ছেড়ে রায়দিঘির কয়েক জন দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে দল তৈরি করে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টোপ দিয়ে ছিনতাই করাই ছিল তার কাজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “এই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।” |
|
|
|
|
|