ইয়াসমিন খাতুন। |
টেস্ট পরীক্ষার দিন কয়েক আগে আগুনে বই-খাতা পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন করে সব বই কেনার টাকা কোথায়! স্কুলের শিক্ষিকারা সাহায্য না করলে মাধ্যমিক পরীক্ষাটাই বোধহয় দেওয়া হত না লালবাগ এমএমসি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ইয়াসমিন খাতুনের। তবে অভাবের কাছে হার মানেনি ইয়াসমিন। ৪টি বিষয়ে লেটার-সহ এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫৭৫ পেয়েছে সে। বাবা সিরাজ শেখ দর্জির কাজ করেন। আয়ও স্বল্প। যৎসামান্য টাকায় সংসার চালাতেই মাথায় হাত সিরাজের। ইয়াসমিনের কথায়, “প্রতি মাসে গৃহশিক্ষকদের বেতন দিতে পারতাম না। আমাদের অত টাকা নেই। তবে ওঁরা কোনও দিন একটাও পয়সা চাননি। সবসময় পাশে থেকেছেন। স্কুলের শিক্ষিকারাও আমায় সাহায্য করেছেন। ওঁদের সাহায্য না পেলে হয়ত এ বছর আমার পরীক্ষাই দেওয়া হতো না।”ছোট্টবেলা থেকেই তার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বিজ্ঞান পড়ার সমর্থ্য নেই। তাই কলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। হাসিমুখে ইয়াসমিন জানায়, “আমাদের অভাবের সংসার। তাড়াতাড়ি বাবার পাশে দাঁড়াতে চাই।”
|
সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক পাচারকারীর। ইসলামপুরের চরগোপালপুর গ্রামের ওই পাচারকারীকে শনাক্তও করেছে পুলিশ, নাম আব্দুল রাজ্জাক (৩০)। রানিতলার চরকুঠিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের সময়ে সীমান্তের জওয়ানেরা তাকে থামতে বলে। তাদের কথা না শুনে পালানোর চেষ্টা করতেই গুলি চালায় তারা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুল।
|
পুলিশকর্মীর হাত ছাড়িয়ে আদালত চত্বর থেকে পালাল এক আসামী। সোমবার বেলা এগারোটা নাগাদ ধুবুলিয়া থানার পুলিশ সুকুমার মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে নিয়ে আসে। গাড়ি থেকে নামতেই ধৃত হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। রবিবার রাতে মারপিঠের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
বিডিও আবাসনের তালা ভেঙে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে শান্তিপুরের প্রাক্তন বিডিও সুমি বিশ্বাস ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। লণ্ডভণ্ড ঘরের জিনিসপত্র। খোয়া গিয়েছে টাকা ও পাম্পের যন্ত্রাংশ। পাঁচিলের পাশ থেকে দু’টি বাসনবোঝাই বস্তাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে সুমিদেবী বদলি হয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁর জিনিসপত্র বিডিও আবাসনেই রাখা ছিল। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
|
প্রচন্ড গরমে সানস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে রব্বেল মির্জা (৫২) নামে এক ব্যক্তির। বাড়ি বড়ঞার পুলিয়া গ্রামে। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ তিনি কান্দি বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক জানান। পথেই তিনি মারা গিয়েছেন। হাসপাতালের সুপার মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, “সানস্ট্রোকে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।”
|
যানজটের সমস্যায় নাজেহাল করিমপুর। কোনও স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড না থাকায় রাজ্য সড়কের উপরেই তৈরি হয়ে গিয়েছে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। রাস্তা জুড়ে বাস দাঁড়িয়ে থাকায় অফিস ও স্কুলে যাওয়ার সময়ে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়া ও নিত্যযাত্রীদের। এমনকী হাসপাতালেও যেতে হয় ওই রাস্তা দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তেহট্টের মহকুমাশাসক অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল বলেন, “করিমপুরে একটা স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। তা হয়ে গেলেই আর সমস্যা থাকবে না।” |