রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলা ও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে যাওয়ার পরে জেলা জুনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিগত জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জুনিয়র ফুটবল লিগ ম্যাচ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে কথা অংশগ্রহণকারী ১১টি ফুটবল দলকেই জানিয়ে দেন। যদিও জেলাশাসক রাজীব কুমার বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলা ও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে কমিটি ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে ফুটবল লিগ বন্ধ রাখার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, নতুন কমিটি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই কমিটি ফুটবল লিগ চালাতে পারতেন। আমি ওই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব।” গত ২৯ মে থেকে শুরু হয়েছে জেলা জুনিয়র ফুটবল লিগ। তাতে জেলার ১১টি দল অংশ নেয়হিন্দ ক্লাব, এফইউসি, শিবাজি অ্যাথলেটিক ক্লাব, বালার্ক সংঘ, মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট ভেটারেন্স, এমজেওয়াইএস, লালবাগের তরুণ সমিতি, বান্ধব সমিতি, আজিমগঞ্জ ওয়াইএমএ, গোয়ালজান এসএস ও ইসলামপুরের হেরামপুর ক্লাব। এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলে বহরমপুরের হিন্দ ক্লাব লিগ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। ৬টি ম্যাচে জয়ী হয়ে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। সেখানে এফইউসি ৫টি ম্যাচ খেলে ৪টি জয়ী হয়েছে। ১টি ম্যাচে বিপক্ষ দল অবৈধ ফুটবলার খেলিয়েছে বলে লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ওই ক্লাবের তরফে। ফলে ওই ম্যাচের এখনও কোনও ফয়সালা ঘোষিত হয়নি। বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে লিগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিগত জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্যতম কর্তা অসীম দাস বলেন, “কমিটি ভেঙে দেওয়া মানেই ক্ষমতাও চলে যাওয়া। এই অবস্থায় ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে যদি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে? এ ছাড়া ম্যাচের পরে ফুটবল দলগুলি বিভিন্ন কারণে লিখিত প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু কমিটি বৈঠক ডেকে সেই সমস্যার সমাধান করবে, তাও পারবে না। তাহলে লিগের খেলা চালিয়ে কী হবে? তাই লিগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে টানা গরমে নিয়মিত অনুশীলনে গরহাজির ফুটবলারদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল, অন্য দিকে ইউরো কাপের খেলা শুরু হতেই গত দু-দিনে অনুশীলনে ফুটবলারদের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে। হিন্দ ক্লাবের সম্পাদক শেখর রায় বলেন, “রাত জেগে ইউরো কাপের খেলা দেখতে গিয়ে অনুশীলন কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ শুরুর আগে ফুটবলারদের অনুশীলন মাঠে মারা যাচ্ছে। সকালে ঘুম ভাঙছে না বলে ফুটবলাররাও অনুশীলনে আসতে পারছে না। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইতালি, স্পেনের খেলায় ঘটেছে।”
বহরমপুরের বিভিন্ন ক্লাবে হরিহরপাড়া, বেলডাঙা, রেজিনগর, জলঙ্গি, সাগরদিঘি, আজিমগঞ্জের ফুটবলাররা খেলেন। এফইউসি ক্লাবের কর্তা সঞ্জয়কুমার রায় বলেন, “প্রচণ্ড গরমে ৩-৪ ঘন্টা মাঠে অনুশীলন করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই সঙ্গে গরমের কারণে দূর-দূরান্ত থেকে ফুটবলাররাও নিয়মিত অনুশীলনে আসতে পারছে না। |