|
|
|
|
‘ফি’ নিয়ে জট |
কাউন্সেলিংয়ে গরহাজির ৮টি বিএড কলেজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিএডের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৯টি বিএড কলেজের মধ্যে ৮টি বেসরকারি কলেজ তাতে যোগ দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফি নিয়ে পড়ানো সম্ভব নয়, এই দাবিতে কাউন্সেলিংয়ে আসেনি ওই ৮টি কলেজ। তাদের দাবি, মাথাপিছু ৩৫ হাজার টাকা নয়, ফি ধার্য করতে হবে ৬১ হাজার টাকা করে। বিএডের সেন্ট্রাল সিলেকশন কমিটির আহ্বায়ক সুনীল মল্লিক বলেন, “যে কলেজগুলি হাজির হয়েছে, তাদের নিয়েই কাউন্সেলিং করা হবে।” আর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “কাউন্সেলিং চলাকালীন ফি বাড়ানো যাবে না বলে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফি বৃদ্ধি নিয়ে পরবর্তীকালে আলোচনা হবে বলেও বৈঠকে স্থির হয়েছিল। তার আগে কলেজগুলি যাতে কাউন্সেলিংয়ে হাজির হয় তা জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কলেজগুলি হাজির না হলে আমাদের কিছুই করার নেই।”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ১৯টি বিএড কলেজ রয়েছে। আবেদনকারীদের তালিকা তৈরি করে সকলকেই কাউন্সেলিংয়ে হাজির থাকার চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফি জটে ৮টি কলেজ তাতে যোগ দেয়নি। ‘সেল্ফ ফিনান্সিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনে’র সাধারণ সম্পাদক অরুণাভ মণ্ডল বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফি নিয়ে কিছুতেই পড়াতে পারব না। গত বছর ওই ফি নিয়ে পড়াতে গিয়ে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ বার থেকে ছাত্রপিছু ন্যূনতম ৬১ হাজার টাকা ফি না করলে আমরা কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেব না।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিএড কলেজগুলিতে ফি কম নেওয়া হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ফি বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। উপাচার্যের কথায়, “কিন্তু তা এখনই সম্ভব নয়। কারণ, কয়েকটি কলেজ আদালতে গিয়েছে। আদালতের রায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকানুন খতিয়ে দেখার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। বেসরকারি কলেজগুলিকেও তা জানানো হয়েছে।” গরহাজির থাকা কলেজগুলির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীকালে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকেই তা ঠিক করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ১৯টি বিএড কলেজের মধ্যে ৬টি সরকারি কলেজ। বাকিগুলি বেসরকারি। কলেজ পিছু ১০০ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার কথা। সেই মতো ১৯০০ জন ছাত্রছাত্রীর তালিকা তৈরি করে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে। ৭ জুন থেকে কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। চলবে ২০ জুন পর্যন্ত। ৮টি কলেজ যোগ না দেওয়ায় ৮০০ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ ঝুলে থাকছে। এদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ কী ভাবছেন? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত যদি ওই কলেজগুলি গরহাজির থাকে, তাহলে কলেজগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|