|
|
|
|
|
বর্ণবৈষম্যের শিকার বালোতেলি |
জল বিতর্কে ফুটছে স্পেন
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
বিতর্কে জল ঢালা শোনা যায়। কিন্তু জল না-ঢালা নিয়েই বিতর্ক?
ইউরোয় স্পেন বনাম ইতালি মহাযুদ্ধের শেষে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে জল! মাঠে ঠিক মতো জল দেওয়া হয়নি বলেই তারা তাদের ট্রেডমার্ক দ্রুত গতির টিকি-টাকা ফুটবল খেলতে পারল না বলে প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছে স্পেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অভিযোগ, খেলা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে মাঠে জল দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে লম্বা, শুকনো ঘাসের উপর দৌড়তে বাধ্য হওয়ায় তাদের গতি কমে যায়।
প্রাক্তন বনাম বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের লড়াই ১-১ ড্র হওয়ার পরে অভিযোগের সুর সবথেকে চড়া স্পেনের হয়ে গোল করে সমতা ফেরানো সেস ফাব্রেগাসের গলায়। “আসল বিপর্যয় মাঠ। এই মাঠে খেলতে বাধ্য হওয়া সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এর থেকে অনেক ভাল মাঠ প্রাপ্য ছিল।” একই অভিযোগ জাভি, ইনিয়েস্তাদেরও। ইনিয়েস্তা বলেন, “জঘন্য মাঠ। এত শুকনো ছিল যে বল পাস করাই কঠিন হচ্ছিল।” জাভি আরও একটু এগিয়ে দাবি করেছেন, “ওরা পিচে জল দেয়নি বলেই আমাদের স্বাভাবিক ছন্দ আর গতিতে খেলতে পারলাম না।” নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন অজুহাত। বলছেন, ভিনসেন্ট দেল বস্কির চমকপ্রদ ৪-৬-০ ছক খাটেনি। আক্রমণে দাভিদ ভিয়ার অভাব ঢাকতে হিমশিম খেয়েছে স্পেন। তোরেসের একাধিক সহজ গোল নষ্ট করার ব্যাখ্যাও শুকনো ঘাস দিয়ে করা যায় না।
দেল বস্কি নিজে অবশ্য তাঁর ছেলেদের খেলায় সন্তুষ্ট। বলেছেন, “যে ভাবে খেলেছি আর যা ফল হয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।” তোরেস গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের পরের দিকে তিনি নামার পরে স্পেনের খেলা অনেক বেশি প্রাণবন্ত দেখিয়েছিল। স্ট্রাইকার না নামানো ভুল স্ট্র্যাটেজি বলে অবশ্য মানছেন না দেল বস্কি। বরং অভিনব ছকের সমর্থনে বলেছেন, “মাঝমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণের চাপ বাড়াতে চেয়েছিলাম। সেটা ভালই কাজে লাগানো গিয়েছে।” এর মধ্যেই আবার বর্ণবৈষম্যের বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠল ইউরোয়। স্পেনীয় এক দল সমর্থক রবিবার ম্যাচ চলাকালীন বর্ণবৈষম্যমূলক ব্যঙ্গ করেন ইতালির স্ট্রাইকার মারিও বালোতেলির উদ্দেশে। বিশেষ করে যখনই বল গেছে বালোতেলির পায়ে। তিনি যখন হলুদ কার্ড দেখছেন তখন ব্যঙ্গাত্মক আওয়াজ উঠেছে চরমে। এ সবের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন স্পেনের গোলপোস্টের পিছনে থাকা ফটোগ্রাফাররা। ঘটনার জেরে ইংরেজ বিদেশ সচিব ঘোষণা করেছেন, “ইংল্যান্ড ম্যাচের সময় এ রকম হলে দল যেন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায়।” |
|
|
|
|
|