|
|
|
|
|
সমর্থকদের শান্ত থাকতে অনুরোধ রুশ টিমের |
মাঠের বাইরের উত্তাপ আজ
ছাপিয়ে যেতে পারে ফুটবলকে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
মাঠের যুদ্ধটা শুরু হওয়ার আগেই লড়াইয়ের ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে পোল্যান্ডের রাস্তায়। রেফারির হুইসল বাজার আগে অনেকের স্মৃতিতেই ফিরে আসছে কমিউনিস্ট যুগের ছবি। যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের দাদাগিরির সামনে বার বার মাথা নত করতে হয়েছে পোল্যান্ডের মতো ছোট দেশকে।
ফুটবল মাঠে আগামিকাল হয়তো রুশদেরই দাপট দেখা যাবে পোলিশদের বিরুদ্ধে, কিন্তু সংগঠকদের মাথা ব্যথার কারণ সেটা নয়। তাঁদের চিন্তায় রাখছে মাঠের বাইরে রুশ সমর্থকদের আচরণ। ইতিমধ্যেই প্রথম ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারানোর পর ঝামেলা করেছিলেন রাশিয়ার সমর্থকেরা। এ বার তো রুশরা ঠিক করে রেখেছেন, তাঁদের পাঁচ হাজার সমর্থক কুচকাওয়াজ করে ওয়ারশ স্টেডিয়ামে যাবেন। যা নিয়ে ওয়ারশ প্রশাসন কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। রাশিয়া বনাম পোল্যান্ড লড়াইটা যদি মাঠের বাইরে থেকে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে। যে আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অবস্থা বুঝেই বোধহয় অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টায় নেমেছে রুশ ফুটবল সংস্থা। রাশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এবং রুশ টিমের পক্ষ থেকে সমর্থকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে শান্ত থাকার জন্য। |
|
প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার ফর্ম দেখার পর দুশ্চিন্তায় থাকার কথা পোল্যান্ডেরও। পোলিশ কোচ স্মুদা যেমন স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁদের গ্রুপ থেকে এক নম্বর দল হয়ে ওঠার ব্যাপারে ফেভারিট রাশিয়াই। নিজের দলের প্রতি পোলিশ কোচের সতর্কবাণী: “জিততে হলে ফোকাস ঠিক রাখতে হবে। মনঃসংযোগে ঘাটতি হলে চলবে না।” একটা ম্যাচ নিয়ে যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা হলে গ্রুপের অন্য ম্যাচটা নিয়ে বলতে হবে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডাই আছে। চেক প্রজাতন্ত্র প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার কাছে চার গোল খাওয়ায় এ বারের ইউরো থেকে তাদের মোটামুটি ছুটি হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে আট বছর আগের চ্যাম্পিয়ন গ্রিসের সামনে অঙ্কটা খুব সহজ। হয় চেকদের হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকো, না হলে দেশে ফেরার বিমানের টিকিট কেটে ফেলো। |
|
|
|
|
|