|
|
|
|
|
কাউন্টার অ্যাটাক |
জয়ের নায়ক শেভচেঙ্কো
সুব্রত ভট্টাচার্য |
|
সুইডেন-১ (ইব্রাহিমোভিচ)
ইউক্রেন-২ (শেভচেঙ্কো-২) |
এসি মিলানের বর্তমানকে টেক্কা দিল এসি মিলানের প্রাক্তন। ইব্রাহিমোভিচের গোলের পরই জ্বলে উঠল শেভচেঙ্কো।
অসাধারণ দু’টো হেড। বিশেষ করে দু’নম্বরটা। যে দুরূহ কোণ থেকে শেভচেঙ্কো হেড করল সেটা ওর মতো স্ট্রাইকারের পক্ষেই সম্ভব। যোগ্য দল হিসাবেই জিতল ইউক্রেন। ৩৫ বছরের এক জন স্ট্রাইকার এই পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাত মিনিটের মধ্যে দু’টো গোল করে স্কোর নিয়ে গেল ০-১ থেকে ২-১! খুব একটা দেখা যায় না।
ইউক্রেন যে এক সময় সোভিয়েতের অংশ ছিল সেটা বোঝা যাচ্ছিল ওদের খেলা দেখে। পুরনো সোভিয়েতের খেলায় যে রকম সৃষ্টিশীলতার ছোঁয়া ছিল, শেভচেঙ্কোরা তেমন খেলার চেষ্টা করল। এখন বেশিরভাগ দলই খেলে গতি আর শক্তির মিশেলে। ইউক্রেন ব্যতিক্রম নয়। সেই সঙ্গে স্কিল ওদের খেলা দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।
ইউক্রেনের এর আগে বড় টুর্নামেন্ট বলতে ২০০৬ বিশ্বকাপ। সোমবার রাতে সুইডেনের বিরুদ্ধে প্রথম এগারোয় ছিল সেই দলের চার ফুটবলার। আর ইউরো কাপে তো এই প্রথম খেলছে আয়োজক হিসাবে। ঘরের দর্শকদের সামনে শেভচেঙ্কোদের তাগিদও ছিল অনেক বেশি। ওরা বিপক্ষ বক্সে উঠছিল অনেক পাস খেলে। দু’টো উইংও ছিল সক্রিয়। বক্সের সামনে টিমোসচুক, নাজারেঙ্কো, ভোরোনিন আর শেভচেঙ্কো মিলে যে পাসিংয়ের জাল তৈরি করছিল তা সামলাতে পারছিল না সুইডিশ রক্ষণ। মার্কার মেলবার্গের পাশ থেকে লাফিয়েই শেভচেঙ্কোর প্রথম হেডের গোলটা এল। বিরতির পরই ইউক্রেনের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে ইব্রাহিমোভিচ ম্যাচের প্রথম গোলটা করেছিল। এই ইব্রাহিমোভিচকে আমি কখনই টমাস ব্রোলিনের মতো প্রতিভাবান বলে ভাবতে পারছি না। সেই বল নিয়ন্ত্রণ ইব্রাহিমোভিচের নেই। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ব্রোলিন-ডালিনদের খেলা এখনও চোখে লেগে। তৃতীয় হয়েছিল সে বার সুইডেন। ইউরোর প্রথম ম্যাচে ইউক্রেনের সামনেই দলটা কিছুটা গুটিয়ে ছিল। ইউক্রেনের খেলার পাশে সুইডদের খেলা বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে লাগল। যা দেখলাম তাতে ঘরের মাঠে ইউক্রেন কিন্তু ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডকে ঝামেলায় ফেলতে পারে। দুই দলের কোচকেই শেভচেঙ্কোকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। |
|
|
|
|
|